শেয়ার বিজ ডেস্ক : ইউক্রেনের পর এবার ফিনল্যান্ডে সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। গত ৪৮ ঘণ্টায় এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ইউরোপের একাধিক দেশ। খবর: এনডিটিভি।
বুধবার রাতে রুশ যুদ্ধবিমান ফিনল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার পর ফিনল্যান্ড সেনার ‘তৎপরতা’ ঘিরে আরও জোরালো হয়েছে যুদ্ধের জল্পনা।
রাশিয়ার হুশিয়ারি অগ্রাহ্য করে ফিনল্যান্ড চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন?্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর রুশ যুদ্ধবিমান ঢোকে ফিনল্যান্ডের আকাশসীমায়। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে রুশ হুমকি অগ্রাহ্য করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ন?্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন।
বুধবার থেকে রুশ সীমান্তবর্তী এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনার সঙ্গে যৌথ যুদ্ধ মহড়া শুরু করেছে ফিনল্যান্ডের সামরিক বাহিনী। এদিন ফিনল্যান্ডের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে রুশ বিমানবাহিনীর একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। ফলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্লেষকদের মতে, ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোতে কিছুতেই শামিল হতে দেবে না রাশিয়া। প্রয়োজনে ইউক্রেনের মতো সে দেশেও হামলা চালাতে পারে মস্কো।
প্রসঙ্গত, প্রাক-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্বে ১৯৩৯ সালের নভেম্বরে ফিনল্যান্ডে হামলা চালিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু সামরিক ক্ষমতায় অনেক এগিয়ে থেকেও প্রায় সাড়ে তিন মাসের যুদ্ধে স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের ছোট দেশটিকে পুরোপুরি দখল করতে পারেনি জোসেফ স্তালিনের সেনারা। মস্কো চুক্তিতে কোনোমতে মুখ বাঁচিয়ে সেই যাত্রার হামলায় ইতি টেনেছিল ‘রেড আর্মি’।
এদিকে ইউক্রেন দখলে ব্যর্থ হলেও অধিকৃত এলাকায় সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো। অধিকৃত অঞ্চলগুলো রাশিয়ার অধীনে আনার প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, কেনাবেচা করতে রুশ মুদ্রা রুবল ব্যবহার করতে হবে। রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চলগুলোয় তড়িঘড়ি গণভোট নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গণভোটের মাধ্যমে এই অঞ্চলগুলো রাশিয়া ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে ক্রেমলিনের।