নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে ফান্ডটির ইউনিটদর বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে ফান্ডটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে এক কোটি ২৬ লাখ ৫৯ হাজার টাকার ইউনিট। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ছয় কোটি ৩২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে ফান্ডটির ইউনিটদর ছয় দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ আট টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল আট টাকা ৩০ পয়সা। ওইদিন ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৯৬টি ইউনিট মোট ৩৪৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার টাকা। দিনভর ইউনিট দর সর্বনিম্ন সাত টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ আট টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে ইউনিট দর চার টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।
মিউচুয়াল ফান্ডটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ফান্ডটির পরিশোধিত মূলধন ৬০ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১২ কোটি ৫৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ফান্ডটির মোট ছয় কোটি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, ফান্ডটির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ২৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৭ দশমিক ১৭ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১৫ দশমিক ৯৬ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৯ দশমিক ৭৬।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ অটোকারস লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২৩ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক কোটি ৩০ লাখ ৫৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ছয় কোটি ৫২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ১৪ টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৬১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৫৯ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৫১ হাজার ৫৯৮টি শেয়ার মোট এক হাজার ৫৯০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৩৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৪৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৬১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১১৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৩১৯ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ অটোকারস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ও তিন শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে চার টাকা ৩০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৫৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন চার কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট ৪৩ লাখ ২৬ হাজার ১৩টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে ৩৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু জুট স্টাফলার্স লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৫ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন চার কোটি ২৩ লাখ সাত হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৭৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫৯ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১১ টাকা ছয় পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক শূন্য চার শতাংশ বা ২৫ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৮৬৮ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৮৬৭ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে ৬৪ হাজার ৭৬৮টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৮২৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর পাঁচ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৮২১ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮৮০ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৬৪১ টাকা ১০ পয়সা থেকে দুই হাজার ২৪৪ টাকায় ওঠানামা করে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ৩৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে আট টাকা ৭৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৩০ পয়সা।
আর ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময়ে ইপিএস হয়েছে ৫৭ পয়সা ও এনএভি ৫২ টাকা ২৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা।
১৯৮২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ২৪ লাখ ৮৪ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪২ দশমিক ৯৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক চার দশমিক ৮৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫২ দশমিক শূন্য আট শতাংশ শেয়ার রয়েছে।