ক্রীড়া ডেস্ক: চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে হেরে সমালোচনার মুখে সবচেয়ে বেশি পড়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। অনেকে এরই মধ্যে এ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের অবসরের কথাও বলেছেন। কিন্তু তিনি যে এখনও ফুরিয়ে যাননি, গত পরশু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে সেটায় যেন প্রমাণ করলেন। বিপদের মুহূর্তে শেষ দিকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন মিস্টার ফিনিশার। এরপর স্পিনারদের দাপটে ৯৩ রানের বড় জয় পায় বিরাট কোহলির দল। তাতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেল অতিথিরা। দুই দলের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামের উইকেটে রান তোলা কষ্টকর। পরশু টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ৪০ ওভারে ভারতের মতো ব্যাটিং শক্তি মাত্র ১৫২ রান তোলা, সেটিরই প্রমাণ। কিন্তু সেই উইকেটেই শেষ ১০ ওভারে ঝড় তোলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি আর কেদার যাদব। ধোনি অপরাজিত ছিলেন ৭৯ বলে ৭৮ রানে। তার ইনিংসটিতে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়। এদিকে যাদব অপরাজিত ছিলেন ২৬ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৪০ রানে। তাদের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫১ রান করে ভারত। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেই রানই তাড়া করতে পারল না স্পিনারদের দাপটে। কুলদীপ যাদব আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন দুজনেই তুলে নেন ৩টি করে উইকেট। পাশাপাশি হার্দিক পান্ডিয়া নেন ২ উইকেট। ক্যারিবীয়রা শেষ ১৫৮ রানেই। ৯৩ রানের বড় জয় পায় ভারত।
টস হারা ভারত ৩৪ রানের মধ্যেই শেখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলিকে হারিয়ে চাপে পড়ে। এরপর অজিঙ্কা রাহানে ও যুবরাজ সিং দলকে টেনে তোলেন। দুজনে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। কিন্তু তাদের রান তোলার গতি ছিল ধীরে। যে কারণে দলীয় ১০০ পেরোতেই ভারতের লেগে যায় ২৬.২ ওভার। সেখান থেকে দলকে সম্মানজনক স্কোর পৌঁছে দিতে ব্যাট হাতে দারুণ খেলেন ধোনি। শুরুটা তিনিও ধীরে করেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে তার ব্যাটও হয়েছে ততোটায় চওড়া। শেষ দিকে সাবেক এ অধিনায়ককে যোগ্য সঙ্গ দেন যাদব।
২৫২ রানের লক্ষ্যটাকে সহজই মনে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু ২২ গজে নেমে শুরু থেকেই ভারতের স্পিনে খাবি খেতে থাকে দলটির ব্যাটসম্যানরা। জেসন মোহাম্মদের ৪০ ও রোভম্যান পাওয়েলের ৩০ ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান বলার মতো রান করতে পারেনি।