শেয়ার বিজ ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি স্পন্সর চীনের। এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের সুযোগ না পেলেও চীনের নাম জড়িয়ে রয়েছে। এ আয়োজনে চীন থেকে সবচেয়ে বেশি স্পন্সর পেয়েছে ফিফা। খবর: সিজিটিএন।
২২তম ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনে কোকা-কোলা, ম্যাকডোনাল্ডস ও বাডউইজারের মতো মার্কিন ব্র্যান্ডসহ স্বাগতিক কাতারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে চীন।
লন্ডনভিত্তিক পরামর্শক গ্লোবাল ডেটার তথ্যমতে, এবারের বিশ্বকাপে ফিফাকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দিচ্ছে চীনের স্পন্সররা। এর পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি ডলার। তাদের কাছাকাছি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ১১০ কোটি ডলার পাচ্ছে ফিফা।
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার বার্ষিক হিসাব অনুসারে, চীনের স্পন্সরদের অবদান ২০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। কাতারিদের অবদান ১২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর অবদান ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
কাতার বিশ্বকাপে স্পন্সর করা চারটি চীনা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ওয়ান্ডা গ্রুপ, ভিভো, মেংনিউ ডেইরি ও হাইসেন্স। এর মধ্যে ফিফার সাত করপোরেট অংশীদারের একটি ওয়ান্ডা গ্রুপ। এ তালিকায় আরও রয়েছে কোকা-কোলা, অ্যাডিডাস, হুন্দাই-কিয়া, কাতার এয়ারওয়েজ, কাতার এনার্জি ও ভিসা।
ওয়ান্ডা গ্রুপ ফিফার সঙ্গে ১৫ বছরের জন্য ৮৫ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছে। চুক্তি অনুসারে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত সব বিশ্বকাপে সহায়তা দেবে বেইজিংভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তি জায়ান্ট ভিভোর সঙ্গে ফিফার ছয় বছরের চুক্তি হয়েছে। ৪৫ কোটি ডলারের ওই চুক্তিতে ২০১৭ কনফেডারেশনস কাপ এবং ২০১৮ বিশ্বকাপ ছিল।
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো স্পন্সরশিপ নিয়েছিল চীন। এরপর ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের আধিপত্যের জানান দেয় দেশটি। চলতি বছর কাতার বিশ্বকাপে যে ফুটবল, জাতীয় পতাকা, ট্রফি, শিং ও বাঁশির মতো যেসব স্যুভেনির পাওয়া যাবে, তার ৬০ শতাংশ তৈরি চীনের। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে লুসাইল স্টেডিয়ামে। এটি নির্মাণ করেছে চীনা রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন করপোরেশন ইন্টারন্যাশনাল। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭৭ কোটি ডলার।