প্রতিনিধি, কক্সবাজার: বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে আটকেপড়া তিন শতাধিক পর্যটক গতকালও ফিরতে পারেননি। গতকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত কোনো নৌযান চলাচল না করায়, তাদের আরও একদিন থাকতে হবে।
এর আগে গত রোববার বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল হওয়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলারসহ নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এ কারণে তারা সেখানে আটকা পড়েন।
গতকাল পর্যটকরা ফিরতে না পারার খবর শুনে বোটমালিক সমিতির লোকজন জেটিতে এসে ভিড় করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে পর্যটকদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড স্টেশন কর্মকর্তা লে. তারেক আহমেদ জানান, গতকাল সকাল থেকে ঝড়োবৃষ্টি থাকলেও বিকালে অবস্থা স্বাভাবিক ছিল। এ কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে নৌযান চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু ট্রলারের মাঝিরা বিকাল হয়ে যাওয়ায় কোনো ট্রলার ছাড়েননি। এ নিয়ে একটু হইচই হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।
বোটমালিক সমিতির লোকজনের সঙ্গে গতকাল দুপুরে পর্যটকদের বাগবিতণ্ডা হয়।
তিনি জানান, আজও পর্যটকদের দ্বীপে থাকতে হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে সব ঠিক থাকলে ফিরতে পারবেন তারা। তবে আমরা এখানে পর্যটকদের খোঁজখবর রাখছি, যাতে তাদের কোনো অসুবিধা না হয়।
সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানান, আজ বিকাল থেকে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। কারণ দ্বীপ থেকে একটি ট্রলার টেকনাফ পৌঁছাতে তিন ঘণ্টা লাগে। তার মধ্য সাগরের অবস্থা খারাপ হলে ঝুঁকি থাকে। তাই আজও দ্বীপ থেকে কোনো ট্রলার ছাড়েনি। ফলে ভ্রমণে আসা তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ পারভেজ চৌধুরী জানান, সাগরের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও বিকাল হওয়ায় দ্বীপ থেকে কোনো ট্রলার ছাড়েনি। তবে দ্বীপে থাকা পর্যটকদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যা পরতে না হয়, সেজন্য সব সময় খোঁজখবর রাখছি। তবে অনেকে ফিরতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে। আশা করছি, সাগরের অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে মঙ্গলবার সকালে পর্যটকরা দ্বীপ ছাড়তে পারবেন।