ফিলিপাইনের সঙ্গে প্রতিবেদন শেয়ার করবে বাংলাদেশ: আইনমন্ত্রী

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন ফিলিপাইনের সঙ্গে শেয়ার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল রয়টার্সকে দেওয়া এক মন্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছে এ বিষয়গুলো শেয়ার করলে ফিলিপাইন থেকে টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে সুবিধা হবে। আনিসুল হক বলেন, ‘এটা সহযোগিতার একটি অংশ। আমরা তাদের আমাদের তদন্তের অগ্রগতি জানাব।’

এর আগে ফিলিপাইন সরকার জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে সহায়তা করবে তারা। তবে এ ঘটনায় বাংলাদেশ তদন্ত করে যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, তা তাদের দিতে হবে। ফিলিপাইনের অর্থমন্ত্রী কার্লোস ডমিনগেজ সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, ঢাকাকে তার তদন্তের ফল বিনিময়ের জন্য জোরালো সুপারিশ করেছে ম্যানিলা। চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে যা যা করা সম্ভব, তার সবই ফিলিপাইন সরকার করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন এই অর্থমন্ত্রী।

কিছুদিন আগেও রিজার্ভ চুরির ১৫ দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলার ফেরত দিয়েছে ফিলিপাইন সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক তখনই আশা প্রকাশ করে বাংলাদেশ চুরির পুরো অর্থই ফেরত পারে। কারণ তখন পর্যন্ত আন্তরিকভাবেই সহযোগিতা করে আসছিল ফিলিপাইন সরকার। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ফিলিপাইন সফর করে আসে। সফরে দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক থাকলেও তা বাতিল করেন তিনি। সে সময়ই হঠাৎ করে ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংক বাংলাদেশকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেবে না বলে উল্লেখ করে। তারা তখন জানায়, রিজার্ভ চুরির বিষয়ে বাংলাদেশ তাদের তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ না করে তথ্য গোপন করছে।

দেশে ফিরে আইনমন্ত্রী আবারও ব্যাংকটির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে বলে জোর বক্তব্য প্রদান করেন। এরপরই ফিলিপাইনের অর্থমন্ত্রী এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা জানালেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশের রিজার্ভের আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে পাঠানো হয়। সে সময় ফেড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্টপ পেমেন্ট দিয়ে বার্তা পাঠানো হলেও ব্যাংকটি এসব অর্থ ছাড় করে। যা পরে দেশটির বিভিন্ন ক্যাসিনোতে চলে যায়। একটি ক্যাসিনো মালিকের কাছ থেকে উদ্ধার করা ১৫ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার জব্দ করার পর তা বাংলাদেশকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ফিলিপাইনকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০