শেয়ার বিজ ডেস্ক: শান্তিতে নোবেলজয়ী সাংবাদিক মারিয়া রেসার অনুসন্ধানী গণমাধ্যম ‘র্যাপলার’ ফের বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ফিলিপাইন সরকার। খবর: বিবিসি।
ফিলিপাইনে যে সংবাদমাধ্যমগুলো প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে সরকারের সমালোচনা করে তার মধ্যে র্যাপলার অন্যতম। নতুন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বংবংয়ের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ মুহূর্তে র্যাপলার বন্ধের এই আদেশ এসেছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় র্যাপলার জানায়, তারা অফিস বন্ধ করবে না। বরং সরকারের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে যাবে। বছর চারেক আগে গণমাধ্যমটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা। দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে ও দুতের্তের মিত্র মার্কোস জুনিয়র গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর দায়িত্ব গ্রহণের মুহূর্তে আবার একই পদক্ষেপ নেয়া হলো।
মারিয়া রেসা গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কাজ চালিয়ে যাব। আমরা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করব এবং অধিকারের জন্য লড়ে যাব। আমাদের অবস্থান আমরা ধরে রাখব।
ফিলিপাইনের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এক বিবৃতিতে জানায়, র্যাপলার যেভাবে তহবিল সংগ্রহ করেছে, তা ‘অসাংবিধানিক’ বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আদালত। র্যাপলারের লাইসেন্স কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত তাতে বহাল থাকছে। ২০১৮ সালে প্রথম র্যাপলারের লাইসেন্স অবৈধ ঘোষণা করে আদেশ জারি করা হয়। বলা হয়, গণমাধ্যমটি একটি বিদেশিদের কাছে নিজেদের সত্ব বিক্রি করেছে। এতে ফিলিপাইনের মিডিয়ায় বিদেশি মালিকানার বিধিনিষেধ লঙ্ঘন হয়েছে। র্যাপলার তখন থেকেই লড়ে যাচ্ছে। মার্কিন বিনিয়োগকারীদের অর্থায়ন নিয়ে ফিলিপাইনের আইন ভঙ্গ করার কথা তারা অস্বীকার করে আসছে।
২০১৫ সালে র্যাপলার ওমিয়াদার নেটওয়ার্ক থেকে তহবিল পেয়েছিল। এই নেটওয়ার্ক হলো ‘ই-বে’র প্রতিষ্ঠাতা বিলিয়নিয়ার পিয়ের ওমিদার প্রতিষ্ঠিত একটি জনহিতৈষী বিনিয়োগ সংস্থা। তিন বছর পরে তারা বিনিয়োগের ওই অর্থ র্যাপলারের ফিলিপিনো কর্মীদের দান করে দেয়।