শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিপাইনের বন্যায় ১১ জন নিহত এবং নিখোঁজ অন্তত ১৯ জন। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় দেশটির দ্বীপভূখণ্ড মিন্দানাওয়ের বিভিন্ন গ্রাম ও শহরে এ বন্যা দেখা দেয়। খবর: রয়টার্স।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতে মিন্দানাওয়ের নদী-নালা ও অন্যান্য জলাশয় প্লাবিত হয়ে যায়। গত রোববার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোয় বন্যা শুরু হয়।
বন্যার পানিতে ডুবে জিংগুগ শহরের পার্শ্ববর্তী ক্ল্যারিন, জিনামেজ ও তুদেলা এলাকায় ৭ জনের মৃত্যু হয়। তাছাড়া বন্যার পানিতে নৌকাডুবে মিন্দানাও দ্বীপপুঞ্জের লেইতে আরও ৪ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে একটি মেয়েশিশু রয়েছে।
জিংগুগ শহরের কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা জানান, সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে বৃষ্টি থামলেও, পানি সরেনি। শহরের বেশিরভাগ এলাকায় এখনও বুক সমান পানি রয়েছে। এ শহরে প্রায় ৪৫ হাজার ৭০০ মানুষ বাস করেন। গত সাত দিনে তাদের মধ্যে অন্তত ৩৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
ঝড়ো আবহাওয়া ও প্রবল ঢেউয়ে মিন্দানাওয়ের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জামবোয়ানগার উপকূলে দুটি মাছধরা নৌকা ডুবে যায়। নৌকা দুটি গভীর সমুদ্র থেকে তীরের দিকে ফিরছিল।
ফিলিপাইনের কোস্টগার্ড বাহিনী জানায়, নৌকা দুটিতে মোট ৪৩ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। তাদের মধ্য থেকে ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ১৯ জন এখনও নিখোঁজ।
মিন্দানাওয়ের মিসামিস অক্সিডেন্টাল প্রদেশের গভর্নর হেনরি ওয়ামিনাল জানান, রাজধানী ওরোকুইয়েটাসহ প্রদেশের বেশিরভাগ গ্রাম ও শহর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত দ্বীপটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৪৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ওরোকুইয়েটাতে ৭২ হাজার মানুষের বসবাস। শহরের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে বন্যার পানি ঢুকেছে। বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এমনকি টেলিফোন-মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না।
গভর্নর আরও বলেন, ঝড়-বৃষ্টি-বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের দেশে নিয়মিত ঘটনা। বছরজুড়ে আমাদের এসব দুর্যোগ মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হয়। তবে এবার যে বৃষ্টি ও বন্যার অভিজ্ঞতা আমাদের হলো, তা আগে কখনও হয়নি।