শেয়ার বিজ ডেস্ক : ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে হাসপাতাল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাজধানী ম্যানিলা থেকেও কম্পন অনুভূত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বুধবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ডলোরেস শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। খবর রয়টার্সের
আবরা প্রদেশের ভাইস গভর্নর জয় বের্নোস জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ পড়ে ২৫ বছর বয়সি ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
প্রবল কম্পনে বিভিন্ন ভবন ও ঘরবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। আবরা প্রদেশে একটি হাসপাতাল ভবন আংশিক ধসে পড়ার পর সবাইকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ওই প্রদেশের লাগানগিলাং শহরের মেয়র রোভেলিন ভিলামর বলেন, ‘আমাদের এখানে এখনও মাঝে মাঝে পরাঘাত অনুভূত হচ্ছে। অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর আসছে। তবে হতাহতের কোনো খবর এখনও পাইনি।’
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস বলেছেন, ‘ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বেদনাদায়ক খবরাখবর এলেও প্রকৃতিক এ বিপর্যয়ে ক্ষতিস্তদের সহায়তায় দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিচ্ছি।’
ভূমিকম্প যেখানে আঘাত হেনেছে, সেটি মার্কোসদের রাজনৈতিক ঘাঁটি বলে বিবেচিত অঞ্চলের কাছেই অবস্থিত।
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রীয় ভূতাত্তি¡ক সংস্থার পরিচালক রেনাতো সোলিডাম মানাবো শহরসহ আবরার কিছু অংশে ভ‚মিধসের খবর পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন।
উত্তরাঞ্চলের ইলোকোস সুর প্রদেশের কংগ্রেস সদস্য এরিক সিংসন তাদের প্রদেশেও ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম আমার ঘরও ধসে পড়বে। এখন আমরা লোকজনের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। এখানে পরাঘাত হচ্ছে, যে কারণে আমরা এখন ঘরের বাইরে আছি।’
ভূমিকম্পে লুজনের পশ্চিম উপকূলে ভিগান শহরের অনেক ঐতিহ্যবাহী ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শহরটি পুরোনো স্পেনিশ ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের জন্য পরিচিত।
রেডিওকে এক পর্যটক এডিসন এডুকুল বলেছেন, তিনি ভূমিকম্পের সময় ভিগানের বান্টে চার্চবেল টাওয়ারের ছবি তুলছিলেন। ভূমিকম্পের ফলে টাওয়ারটি প্রায় তিন মিনিট ধরে কাঁপতে থাকে বলে জানান তিনি।
