ফিলিপাইনে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপাইনের লুজান দ্বীপ। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, গতকাল বুধবারের এই ভূমিকম্পে দেশটির উত্তরাঞ্চলের একটি প্রদেশে একটি হাসপাতাল ও একাধিক ভবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর: রয়টার্স।

ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল লুজান দ্বীপের দোলোরেস শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। সেখানে ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা জানান, ভূমিকম্পে আংশিক ধসে যাওয়ার পর আবা প্রদেশের একটি হাসপাতাল খালি করা হয়। তবে সেখানে কেউ হতাহত হননি। হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে বড় একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। বাইরে হাসপাতালের কর্মীদের ও বিছানাপত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়। একটি বিছানায় রোগীও ছিলেন।

প্রদেশটির লাগানজিলাং শহরের মেয়র রোভলিন ভিলামোর বলেন, আমাদের এখানে এখনও ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন অনুভূত হচ্ছে। বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানতে পেরেছি। তবে এখনও কেউ হতাহত হয়নি। আমাদের এখানে এখন বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই। ঝুঁকি বিবেচনায় স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

দেশটির জাতীয় ভূমিকম্প সংস্থার পরিচালক রেনাটো সোলিডাম স্থানীয় বলেন, ভূমিকম্প-পরবর্তী শক্তিশালী ভূকম্পন (আফটার শক) হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন আবরা ও আশপাশের প্রদেশগুলোয় বেশি নজর দেয়া হচ্ছে। এটা একটা বড় ধরনের ভূমিকম্প। আবরার কিছু এলাকায় ভূমিধস হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে প্রদেশটির মানাবো শহরে ভূমিধসের ঘটনা বেশি ঘটেছে।

রাজধানী ম্যানিলায়ও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সেখানে একাধিক ভবন থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। শঙ্কিত কিছু মানুষ একটি ভবনের ৩০ তলা থেকে পালাতে বাধ্য হন। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত মানুষের ছোটাছুটিতে শহরটির মেট্রোরেলে উঠতে মানুষের ভিড় লেগে যায়।

ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্পসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে। প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে থাকা সক্রিয় ‘আগ্নেয় বলয়’ বা ‘রিং অব ফায়ারের’ কারণে ফিলিপাইনে ভূমিকম্প হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০