শেয়ার বিজ ডেস্ক: জ্যামাইকার সরকার গতকাল বুধবার জানিয়েছে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। খবর: আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ক্রমেই গভীর হতে থাকা মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে জ্যামাইকা সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতিসংঘ সনদের মূলনীতির প্রতি প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতির কথা।
জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান দেখতে চায় তার দেশ। সেটা হতে হবে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে, সামরিক উপায়ে নয়।
এর আগে গত মাসে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে স্পেনসহ ইউরোপের চারটি দেশ। অন্য তিনটি দেশ হলো আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও সেøাভেনিয়া। এরই মধ্যে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছে। গত মাসে এক কাউন্সিলের সমাবেশের ফাঁকে আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও সেøাভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছান।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ আশা প্রকাশ করে বলেন, গত বছর শুরু হওয়া তার সরকারের চার বছরের মেয়াদকালের মধ্যে এ স্বীকৃতি মিলবে।
আয়ারল্যান্ড বিবৃতিতে জানায়, আমরা সম্মত হয়েছি, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের একমাত্র উপায় হলো একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়ন করা। তাহলেই কেবল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিরা শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করতে পারবে।
গত বছরের নভেম্বরে আরব রাষ্ট্রগুলো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্পেনে বৈঠক করেছিল। সেখানে তারা ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের সংঘাত বন্ধে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে সম্মত হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ১৩৯টি সদস্যরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে।