শেয়ার বিজ ডেস্ক: অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি ইহুদি বসতির কাছে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের গুলিতে চার ইসরাইলি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও
চারজন। ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলেছে, জেনিন শহরে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানের জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। খবর: রয়টার্স ও বিবিসি।
এই হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরের বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি শহর ও গ্রামে বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং তাদের জলপাই বাগান ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী পশ্চিম তীরের একটি পেট্রোল পাম্পে ইসরাইলিদের ওপর গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর প্রায় ১০০ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী ফিলিস্তিনি শহর হুওয়ারাতে তাণ্ডব চালায় বলে জানা গেছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, ওই হামলার পর তারা পশ্চিম তীরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে। এই শহরে গত ফেব্রুয়ারিতে দুই ইসরাইলি ভাইকে হত্যার পর বসতি স্থাপনকারীরা বড় ধরনের প্রতিশোধমূলক আক্রমণ চালিয়েছিল।
ইসরাইলিদের ওপর হামলাকারী বন্দুকধারীদের দুজন তাদের সশস্ত্র শাখার সদস্য বলে জানিয়েছে হামাস। এই হামলাকে তারা ‘বীরোচিত জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
ইসরাইলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দুকধারীদের একজন ঘটনাস্থলে এক বেসামরিক নাগরিকের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আর অন্যজন ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ও ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার বন্দুকযুদ্ধের পরদিন এই হামলার ঘটনা ঘটল। গত সোমবার জেনিনের আশপাশের এলাকায় ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটি লক্ষ করে হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়েন। এতে ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হন। ওই হামলায় আহত হয়েছেন ৯০ জনের বেশি মানুষ। আহতদের মধ্যে সাত ইসরাইলি সেনা রয়েছে।
মঙ্গলবারের হামলায় আহত ২৮ বছর বয়সী মোরেল নিকার হাসপাতালে ভর্তি। এলি এলাকার নিরাপত্তা বাহিনীর এই সদস্য বলেন, গ্যাস স্টেশনে পৌঁছানোমাত্রই আমি ওই হামলাকারীকে দেখতে পেলাম।
এ হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম নিডস বলেন, পশ্চিম তীরে গত ৪৮ ঘণ্টায় সাধারণ বেসামরিক নাগরিকের হতাহতের ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযান জোরদার হওয়ার কারণে গত ১৫ মাসে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়েছে।
