শেয়ার বিজ ডেস্ক: টানা এক সপ্তাহ ধরে বিমান হামলার পর এখন ফিলিস্তিনের বিভিন্ন জায়গায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল। জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরের দুটি শরণার্থী শিবিরে এসব অভিযান চালানো হয়েছে। খবর: আল জাজিরা।
আল জাজিরা আরবির পক্ষ থেকে এক এক্স বার্তায় বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার জেরুজালেমের পাশে কালান্দিয়া শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তবে প্রাথমিকভাবে এ অভিযানে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে এদিনই ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন ও জেরিচোতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানের খবর পাওয়া যায়। এসব অভিযানে দুজন আহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার ইসরাইলের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের উত্তর গাজা (গাজা সিটি) খালি করতে বলা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেসামরিক বাসিন্দাদের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে চলে যেতে সময় বেঁধে দেয় ইসরাইল। এর পর থেকে উত্তর গাজা ছেড়ে হাজার দশেক মানুষ পালিয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গাজা খালি করার এ আদেশ প্রত্যাহার করে নিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সংস্থাটি বলছে, এটা অবাস্তব আদেশ।
এর মধ্যে গাজা থেকে পালানোর সময় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে। হামাস জানিয়েছে, এতে অন্তত ৭০ জনের প্রাণ গেছে। নিহত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। হামাসের হামলার নেতৃত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ সেনা কমান্ডার মুরাদ আবু মুরাদ ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, তাদের যুদ্ধবিমান যখন হামাসের একটি অভিযানকেন্দ্রে হামলা চালায়, তখন তিনি নিহত হন। তবে এ ব্যাপারে হামাস নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি। এদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, লেবানন সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা চালানোর সময় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গতকাল বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল। এর পর থেকে গাজায় টানা বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।
হামাসের হামলায় ইসরাইলে নিহত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩০০ জনে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত এক হাজার ৯০০ মানুষ। আহত হয়েছেন ছয় হাজার ৩৮৮ জন।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি হামলায় গাজায় নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন চার লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।