Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 3:56 pm

ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চলছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও ইসরাইলের মধ্যে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে এ অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়েছে। খবর: আল জাজিরা।

দুই পক্ষের মধ্যকার এ অস্ত্রবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছে মিসর। দেশটির আল-কাহেরা টেলিভিশন চ্যানেল এক প্রতিবেদনে জানায়, উভয় পক্ষ অস্ত্রবিরতির সমঝোতার শর্ত মেনে চলতে সম্মত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের শেষ হলো। ৮ মে থেকে শুরু হওয়া এ সংঘাতে গাজায় ৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্য অন্তত ১৩ বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে ইসরাইলে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা রকেট হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এবং গাজা থেকে কাজের অনুমতি নিয়ে ইসরাইলে যাওয়া একজন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুই পক্ষই অস্ত্রবিরতি মেনে চলবে। বেসামরিক নাগরিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো, বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেয়া ও একে অপরের ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে চালানো হামলা অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হবে।

অস্ত্রবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামপন্থি গ্রুপের মুখপাত্র দাউদ শেহাব বলেন, মিসরের অস্ত্রবিরতির ঘোষণা আমরা মেনে নিয়েছি এবং দখলদার ইসরাইল যতক্ষণ পর্যন্ত অস্ত্রবিরতির শর্ত মেনে চলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরাও তা মেনে চলব।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকেও অস্ত্রবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে দেশটির সামরিক কর্মকর্তা উইলেম মার্কস আশকেলন থেকে জানান, অস্ত্রবিরতির পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হবে।

ইসরাইলের প্রথম দিনের বিমান হামলায় ১২ জন নিহত হন। দেশটির দাবি, ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের (পিআইজে) আস্তানা লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছে। আগের সপ্তাহে তাদের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে যে চালানো চালানো হয়েছিল, তার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে এবং এ হামলায় পিআইজের সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, তারা ফিলিস্তিনের পিআইজে আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে গাজার বাসিন্দারা জানান, সংঘাতে জড়িত নন, এমন সাধারণ মানুষের বাড়িঘরেও হামলা চালানো হয়েছে।

পিআইজে জানায়, প্রথম দিনের ইসরাইলি হামলায় তাদের তিন নেতা জিহাদ আল-ঘান্নাম, খলিল আল-বাহতিনি ও তারিক উজ আল-দীন নিহত হয়েছেন। হামলায় নিহত হয়েছেন তাদের স্ত্রী-সন্তানরাও। দ্বিতীয় দিনের হামলায় ইসরাইলি বাহিনী দাবি করে, পিআইজের পাঁচ নেতা নিহত হয়েছেন। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী দাবি করে, তারা গাজার ২১৫টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।