নিজস্ব প্রতিবেদক: ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানের প্রথম দিনে ফুটপাতে গড়ে তোলা যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয়সহ বেশকিছু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
গতকাল সকালে রাজধানীর উত্তরা থেকে বিশেষ এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। এতে নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম, সাজিদ আনোয়ার, আবদুল হামিদ ও জুলকার নায়ন।
ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজেদ আনোয়ারের নেতৃত্বে রোববার সকাল ১০টায় উত্তরার সোনারগাঁও অ্যাভিনিউ থেকে অভিযান শুরু হয়। পরে গরীবে নেওয়াজ অ্যাভিনিউ, রবীন্দ্র সরণি এবং মাসকট প্লাজার পেছনে ৩৫ নম্বর সড়কের ফুটপাত ও সড়ক থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় প্রায় তিন শতাধিক অস্থায়ী দোকান, শেড, সিঁড়ি ইত্যাদি উচ্ছেদ করে জনগণের চলাচলের জন্য উš§ুক্ত করে দেওয়া হয়।
দুপুর ১টার দিকে তিন নম্বর সেক্টরের দুই নম্বর সড়কে ‘হাংরি ডাক’ নামে একটি রেস্তোরাঁর ফটক, সামনের অংশ এবং দোতলায় ওঠার সিঁড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। ফুটপাত দখল করে এসব বানানো হয়েছিল। একই সময়ে এক নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের একটি অস্থায়ী কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সড়কে থাকা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি অস্থায়ী কার্যালয়?ও ভাঙা হয়েছে।
অভিযানে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় একজনকে তিন মাসের কারাদণ্ড, অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করায় একজনকে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘হাংরি ডাক’কে দুই লাখ টাকা এবং ‘খাজানা’কে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেকে ফুটপাত দখল করে অবৈধ বাণিজ্য করছে, বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক অফিস নির্মাণ করেছে। যদিও সিটি করপোরেশন সুন্দর সুন্দর রাস্তা তৈরি করে, পথচারীদের জন্য ফুটপাত তৈরি করে, কিন্তু ফুটপাত দখল করে বাণিজ্য করায় জনগণ ফুটপাত ব্যবহার করতে পারেন না। তাই তারা ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন, ফুটপাতে কোনো রকম বাণিজ্য চলবে না, কোনো রকম রাজনৈতিক কার্যালয় থাকতে পারবে না। আমি সবাইকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আপনারা আমাদের ফুটপাতগুলো মুক্ত করে দেবেন। মানুষ ফুটপাত দিয়ে হাঁটলে রাস্তায় গাড়ি নির্বিঘে্ন চলতে পারবে, কোনো যানজট থাকবে না।
তিনি বলেন, উত্তরা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তরের সব জায়গায় ডিএনসিসি অভিযান পরিচালনা করবে। আমরা ফুটপাতে কোনো রকম অবৈধ দখল দেখতে চাই না। এখন সময় হয়েছে ফুটপাতগুলো জনগণকে বুঝিয়ে দেওয়ার, বলেন মেয়র।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, উচ্ছেদের ওপর সোমবার পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে আবারও উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযানে ডিএনসিসি
