ফুলকপি চাষের জন্য উর্বর দোআঁশ ও এটেল মাটি সবচেয়ে ভালো। এ সবজি ঠাণ্ডা ও আর্দ্র আবহাওয়ায় চাষাবাদের উপযোগী। উঁচু জমি যেখানে পানি জমে না এবং সারাদিন রোদ পায়Ñএমন জায়গা চাষের জন্য উত্তম।
চাষের জমিতে যত জৈবসার দেওয়া যায়, ততই ভালো। ফুলকপি রোপণের উপযুক্ত সময় আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর।
ফুলকপির অনেক জাত রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বারি ফুলকপি-১ (রোপা) ও বারি ফুলকপি-২ (অগ্রদূত) জাত দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী ভালো ফলে। বারি ফুলকপি-১ দেশের উত্তরাঞ্চলে বেশি চাষ হয়ে থাকে। বারি ফুলকপি-২ দেশের সবখানে চাষাবাদ করা যায়।
রোপণের জন্য প্রথমে বীজতলায় চারা তৈরি করা হয়। এরপর মূল জমিতে কয়েকবার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝরঝরে করে নিতে হবে। এ সময় গোবর টিএসপি ও বোরন সার দিতে হবে। চারায় পাঁচ থেকে ছয়টি পাতা বের হলে অর্থাৎ এক মাস বয়সের চারা রোপণ করতে হয়। চারা থেকে চারার দূরত্ব হবে ৪৫ সেন্টিমিটার। চারা রোপণের সময় সাবধান হতে হবে যাতে শিকড় ছিঁড়ে বা মুচড়ে না যায়। চারা রোপণের শেষে সেচ ও জমি তৈরিতে যে সার ব্যবহার করা হয়েছে, সে সার দিতে হবে।
পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনের জন্য কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করতে হবে। রোপণের আড়াই থেকে তিন মাস পর ফসল সংগ্রহ করা যায়। ফুলকপির রঙ হলুদ হওয়ার আগে অর্থাৎ সাদা থাকতেই তুলে ফেলা উচিত।
হ কৃষি-কৃষ্টি ডেস্ক
মন্তব্য