ফুলছড়িতে বালি উত্তোলন হুমকিতে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নীলকুঠি-কাতলামারী বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাঙ্গাপাড়া সুইসগেট-সংলগ্ন এলাকায় ড্রেজার দিয়ে ভূগর্ভস্থ বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ, সøুইসগেটসহ ওই এলাকার আবাদি জমি। অতিরিক্ত বালি উত্তোলনের ফলে যেকোনো সময় এ স্থানটি ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ওই এলাকার শতাধিক বাড়িঘরও মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নীলকুঠি-কাতলামারী বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাঙ্গাপাড়া সøুইসগেট সংলগ্ন এলাকায় সারাদিন একটি খাল থেকে বোরিং ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। সেই বালি দিয়ে প্রায় দেড় হাজার ফুট দূরের একটি পুকুর ভরাটসহ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গামোড় গ্রামের মৃত চারু মিয়ার ছেলে প্রভাবশালী রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক বালি তুলছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। ড্রেজার দিয়ে সমতল মাটির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমি দেবে যাওয়াসহ আশপাশের পরিবেশেরও ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, খাল থেকে বালি তোলার কারণে খালের আশপাশের সমস্ত জমি ধসে যাচ্ছে। এভাবে বালি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ সøুইসগেটটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরে মৌখিক অভিযোগ করলেও রুহুল আমিন আইন অমান্য করে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন।

এ ব্যাপারে বালি উত্তোলনকারী রুহুল আমিনের কথা বললে তিনি জানান, যে জমি থেকে বালি তোলা হচ্ছে তা আমাদের নিজস্ব জমি। নিজেদের জমির বালি দিয়ে পুকুর ভরাট করছি।

এ ব্যাপারে গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলী খান বলেন, বোরিং ড্রেজার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শ্যালোমেশিনের মাধ্যমে কম্পন সৃষ্টি করে বালি তোলার ফলে মাটির তলদেশে ফাঁকা হয়ে যায়। এতে বড় ধরনের ভূমিধসের আশঙ্কা দেখা দেবে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ বিধ্বংসী এই অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের এসব ড্রেজার দ্রুত বন্ধ করা উচিত।

ফুলছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিলা তাসনিম বলেন, এ বিষয়ে কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে অবৈধ ড্রেজার মালিক ও বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০