প্রতিনিধি, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর): একটি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্ধকার নেমে এসেছে একটি পরিবারে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আলমগীর নামের এক পোশাক শ্রমিকের সড়ক দুর্ঘনায় মৃত্যু হওয়ায় এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন তার বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও তিন বছরের একটি কন্যাশিশু। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল গ্রামের চৌকিয়াপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, চৌকিয়াপাড়া গ্রামের বাসীন্দা মৃত আজগর আলীর ছেলে আলমগীর ঢাকা সাভারের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদ্যাপনের জন্য গত ৮ জুলাই কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ফুলবাড়ী উপজেলার জানিপুর নামক স্থানে আলমগীরকে বহনকৃত একটি রিকশা-ভ্যানের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আলমগীর গুরুতর আহত হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জুলাই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আলমগীরের পরিবারের তিন সদস্য তার মা মনোয়ারা বেওয়া, আলমগীরের স্ত্রী সাবিনা বেগম ও আলমগীরের একমাত্র তিন বছরের কন্যাশিশু জান্নাতুন ফেরদৌস।
আলমগীরে স্ত্রী সাবিনা বেগম জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর এখন তিনি দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। ঘরে তার বৃদ্ধ শাশুড়ি, সঙ্গে একটি অবুঝ শিশু। তাদের নিয়ে তিনি কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। এখন তাদের সংসারের খরচ বহন করার মতো কোনো ব্যক্তি নেই। এদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন আলমগীরের বৃদ্ধ মা মানোয়ারা বেওয়া।
আলমগীরের ভগ্নিপতি আনছার আলী জানান, আলমগীরের মৃত্যুর সঙ্গে একটি পরিবারের মৃত্যু হয়েছে। আলমগীর সড়ক দুর্ঘটনায় একবারে মারা গেছে। আর তার পরিবারের সদস্যরা ধুঁকে ধুঁকে মরছে। একটি সড়ক দুর্ঘটনা একটি পরিবারকে অন্ধকারে ফেলেছে। তিনি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সড়কে অবৈধ যানচলাচল বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।