‘ফুল’ শব্দটির সঙ্গে যেন জড়িয়ে রয়েছে শুদ্ধতা ও ভালোবাসা। ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া হয়তো যাবে না। প্রিয়জনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পারাটা সত্যিই আনন্দের। যে কোনো উৎসব ও বিশেষ দিনগুলোয় প্রিয় মানুষটিকে ফুল উপহার দেওয়ার প্রচলন যুগ যুগ ধরে। অতিথি আপ্যায়ন, বিয়ে, জন্মদিনসহ নানা অনুষ্ঠানে ফুলের ব্যবহার চোখে পড়ে। তাই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফুলের চাহিদাও। দেশে দিন দিন বাড়ছে নানা জাতের ফুলের আবাদ।
লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করছেন মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পুরাপারা গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক। তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। দেশে ফিরে ব্যাপক চাহিদা দেখে প্রথমে ছোট পরিসরে নানা ফুলের চাষ শুরু করেন। পরে সাফল্য আসায় বড় পরিসরে জারবেরা, স্নোবল ও গ্ল্যাডিওলাস ফুলের চাষ করেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, প্রবাস থেকে আসার পর ২০০৪ সালে শখের বসে প্রথমে গোলাপের চাষ করি। পরে বিদেশ থেকে স্নোবল ও গ্ল্যাডিওলাস ফুলের চারা আনি। লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এসব ফুল চাষ করছি এখন।
প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার ফুল রাজধানীর শাহবাগসহ দেশের বিভিন্ন ফুলবাজারে বিক্রি করেন মোজাম্মেল। প্রতিটি ফুল পাঁচ থেকে সাত টাকায় বিক্রি করেন। ফুল বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছেন তিনি। ফলে পরিবার নিয়ে সচ্ছল জীবনযাপন করতে পারছেন। সরকারিভাবে সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে সারা দেশে বিপণন করতে পারবেন বলে আশা তার।
তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়েছেন আরও অনেক কৃষক। তাদেরই একজন আরিফুল ইসলাম। তিনি ফুলের নার্সারিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। এখন নিজেও চাষ করছেন। তিনি বলেন, সারা বছর ফুল চাষ করা যায়। বর্তমানে আমার নার্সারিতে বেশ কজন শ্রমিক কাজ করছেন।
মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হুমুয়ুন কবীর বলেন, মুন্সীগঞ্জের কৃষক ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আমরা ফুল চাষে আগ্রহী কৃষকদের উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছি।
শেখ মোহাম্মদ রতন, মুন্সীগঞ্জ