Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 4:34 pm

ফুল ও স্বাস্থ্যসামগ্রী দিয়ে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের বরণ

প্রতিনিধি, শাবিপ্রবি: দীর্ঘ দেড় বছর অপেক্ষার প্রহর শেষে গতকাল খুলেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হল। এক ডোজ করোনার টিকা নেয়ার শর্তে শিক্ষার্থীদের জন্য খোলা হয়েছে হল।

গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সামিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অনলাইনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া সশরীরে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. আলমগির কবীর, পরিচালক ছাত্রকল্যাণ ও উপদেশ অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ এবং অন্যান্য হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষসহ অনেক শিক্ষার্থী।

গতকাল সকাল থেকে হলে প্রবেশ করতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। হলগুলোর গেটে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসেছেন হাউস টিউটররা। শিক্ষার্থীদের ফুল, খাবার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো-সংবলিত মাস্ক দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন তারা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি-সংক্রান্ত নির্দেশিকা।

ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে হলে আগত শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন খোশ মেজাজে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের আবাসিক ছাত্র শুভ চন্দ্র দাশ বলেন, ‘অনেক দিন পর হলে প্রবেশ করতে পেরে ভালো লাগছে। এতদিন মেসে ছিলাম, অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখন অন্তত পড়ার পরিবেশটা পাব।’

বেগম সিরাজুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাবিহা সায়মন বলেন, ‘এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম, অবশেষে পেলাম। এখন মনে হচ্ছে পৃথিবীটাও সুস্থ, সব স্বাভাবিক। হল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ সুন্দরভাবে আমাদের বরণ করে নেয়ার জন্য। অনেক দিন পর হলের বান্ধবী ও সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে মিলিত হলাম।’

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘ ৫৮৫ দিন পর হল খুলেছি। স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ শতভাগ নিয়ম মেনে হলে থাকতে হবে। আবাসিক হলের যেসব শিক্ষার্থী কমপক্ষে একটি টিকা নিয়েছে তারা হলে উঠতে পারবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য আমরা ক্যাম্পাসে ফাইজার টিকা গ্রহণের বুথ স্থাপন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারেনি, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বুথ স্থাপন করা হবে। ক্যাম্পাসের সব নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিশেষায়িত বুথ হবে। আশা করা যায়, এটি আগামী সপ্তাহ থেকেই কাজ শুরু করতে পারবে। শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হবে।’