Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 5:45 pm

ফু-ওয়াং ফুডের ঋণমান ‘বিবিবি’

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ঋণমান নির্ণয়কারী প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি রেটিং পেয়েছে ‘বিবিবি’। ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ৩১ মে ২০১৮ পর্যন্ত ব্যাংক ঋণদায়ের আলোকে এই রেটিং নির্ণয় করেছে।
৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১২ টাকা ৪২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ছয় কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আগের বছরের চেয়ে পাঁচ শতাংশ কম। এ সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা তিন পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৫২ পয়সা ও ১৩ টাকা ১৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে আট কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১১ কোটি ৫০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ৩২ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৩০। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৩ কোটি দুই লাখ টাকা। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১৬ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে এক কোটি ৪৩ লাখ টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ২০ পয়সা এবং মুনাফা ছিল এক কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ২২ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা হয় দুই কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি সাত লাখ ৬২ হাজার ৯৮৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে পাঁচ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শূন্য দশমিক শূন্য আট শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৮১ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।