নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দর বাড়ার তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩২ দশমিক ৯১ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ২১ কোটি ৬২ লাখ আট হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল এবং সপ্তাহ শেষে সর্বমোট ১০৮ কোটি ১০ লাখ ৪১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ারদর আট দশমিক ৩৩ শতাংশ বা এক টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২০ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২১ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৮ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২১ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওই দিন এক কোটি ৪২ লাখ ২৭ হাজার ২১৫টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৪৫৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৮ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ১২ টাকা থেকে ২১ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে হাতবদল হয়।
‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা তিন পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৩২ পয়সা ও ১১ টাকা ৮৩ পয়সা।
২০১৫ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। ওই সময় কোম্পানিটি কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ১১ কোটি ৫০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল পাঁচ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ২০ দশমিক ৩৯ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৩৬ দশমিক ৬৩। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯১ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ছয় পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল ২২ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ১৬ পয়সা। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯৮ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় ছিল ১২ টাকা ৯২ পয়সা। অর্থাৎ এনএভি বেড়েছে ছয় পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৪৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১৬ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে এক কোটি ৪৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ২২ টাকা এবং মুনাফা করেছে দুই কোটি চার লাখ ৮০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ১৬ লাখ দুই হাজার ৭১৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে চার দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৯ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য দুই শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৭৬ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা রূপালী ব্যাংকের দর বেড়েছে ৩২ দশমিক ৬০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে দুই কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে ১০ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ১১ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে আট কোটি ৬৯ লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
Add Comment