ফেনীতে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ

কামরুল হাসান ছিদ্দিকি, ফেনী: ফেনীতে হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। গত এক সপ্তাহে জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে অন্তত পাঁচ শতাধিক রোগী। এদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীই জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। শিশু ও বৃদ্ধদের মাঝেই এসব রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে বলে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জেলার ছয় উপজেলার রোগীর চাপে হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে অনেকেই হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে থেকেই চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে কিছুটা হিমশিম খেলেও সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

এদিকে প্রচণ্ড শীতের মাঝে রোগী নিয়ে বারান্দায় কিংবা মেঝেতে ঠাঁই মেলা স্বজনদের অধিকতর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ইউনিটে ১৭ শয্যার বিপরীতে গত রোববার ১৫ জন, সোমবার ২৮ জন এবং সবশেষ গতকাল মঙ্গলবার ৩৫ জন রোগী এ ইউনিটে ভর্তি ছিলেন। অন্যদিকে শিশু ওয়ার্ডে ২৬ শয্যার বিপরীতে রোববার ৩৮ জন সোমবার ৪০ জন এবং গতকাল মঙ্গলবার ৩৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন।

এছাড়া গতকাল নতুন করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তিনজন। ফলে নির্ধারিত ধারণ ক্ষমতার বাইরে রোগী আসতে শুরু করায় রোগীদের কাক্সিক্ষত সেবা দিতে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের।

প্রতি বছরের ন্যায় দূষিত খাবার ও পানির অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় রোটা ভাইরাস নামে এ রোগে শিশু-বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রিপন নাথ জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হঠাৎ করেই হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে, হাসপাতালের ডায়রিয়া ইউনিটে ধারণ ক্ষমতার চাইতে অনেক ক্ষেত্রে দুই থেকে তিনগুণ বেশিও রোগী ভর্তি হচ্ছে। এক্ষেত্রে শিশুরাই এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি। অনেক ক্ষেত্রে এসব রোগীদের এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করেও সুফল পাওয়া যায় না, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে অন্তত চার থেকে পাঁচ দিন সময় নেয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০