প্রতিনিধি, ফেনী: ফেনীতে গত দু’দিনে কভিডে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে বুধবার ১৫ জন ও গতকাল বৃহস্পতিবার আটজন মারা যান।
২৩ জনের মধ্যে কভিডে আক্রান্ত হয়ে চার ও উপসর্গে ১৯ জনের মৃত্যু হয়।
তাদের মধ্যে সোনাগাজীর সেনেরখিল গ্রামের মো. আবু ইউছুফ, টঙ্গীর ফরিদ হোসেন, ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়ার রাশেদা আক্তার ও দাগনভূঁঞার রামনগরের অমল চন্দ্র দাস কভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
কভিড পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সবাই ফেনী জেনারেল হাসপাতালের কভিড ডেডিকেটেড ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে জেলায় ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া সবশেষ গত বুধবার জেলায় ২২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত কভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে আট হাজার ১৬৯ জনের।
বুধবার নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাব, জিন এক্সপার্ট ও র?্যাপিড টেস্টে ২২৬ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ৫৭ জনের কভিড পজিটিভ পাওয়া যায়। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে দাগনভূঁঞায় ৩৪ জন, সদর উপজেলায় ১০ জন, সোনাগাজীতে আটজন, ছাগলনাইয়ায় চারজন, পরশুরামের একজন রয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১০ জন ছাড়াও হাসপাতালের ৩০ শয্যার কভিড ডেডিকেটেড ইউনিটে রোগী ভর্তি রয়েছেন ১৩৮ জন। তাদের মধ্যে কভিড পজিটিভ রয়েছেন ৩৬ জন। উপসর্গে ভর্তি ১০২ জন। সবাইকে অক্সিজেন সেবা দিতে হচ্ছে। চিকিৎসক ও নার্সসহ সবাই পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম পোহাচ্ছেন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, গ্রামের রোগীরা সংকটাপন্ন অবস্থায় পৌঁছালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এছাড়া অতিসম্প্রতি শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালেও কভিড উপসর্গের রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। সেখানে রোগীর অবস্থা খারাপ হলে কিছু রোগী জেলার জেনারেল হাসপাতালে চলে আসেন।
