বাংলাদেশের বাণিজ্যনগরী হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যতম একটি ফেনী জেলা শহর। এ জেলার অন্তর্গত পরশুরাম উপজেলার উত্তর সীমান্তে আছে বাংলাদেশের ১১তম স্থলবন্দর বিলোনিয়া স্থলবন্দর। এই স্থলবন্দর পরশুরাম থেকে ফুলগাজী হয়ে ফেনী জেলা শহর পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি সংযোগ পথ আছে। ১৯২৯ সালে আসাম বেঙ্গল রেল কোম্পানি ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথটি নির্মাণ করে। ফেনীর সঙ্গে আসামের যোগাযোগ স্থাপনের জন্য রেলপথটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় এই পথ দিয়ে দুই দেশের মধ্যে যাত্রীরা আসা-যাওয়া করত। ব্যবসায়ীরা পণ্যসামগ্রী আনা-নেয়া করত। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল ও পণ্যসামগ্রী আনা-নেয়া বন্ধ হয়ে গেলেও ফেনী থেকে বিলোনিয়া সীমান্ত পর্যন্ত ছোট আটটি স্টেশন ছুঁয়ে রেলপথটি চালু ছিল। ১৯৯৭ সালে সরকার রেলপথটি অলাভজনক দেখে বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ ২৫ বছর পরিত্যক্ত থাকায় লাইনের অনেক স্থানে সিøপার চুরি হয়ে গেছে। রেললাইনের ওপর দোকানপাট, ঘরবাড়ি ও নানা রকমের প্রতিষ্ঠান বসিয়েছে প্রভাবশালীরা। দখল হয়ে গেছে রেল বিভাগের রক্ষিত ৮টি স্টেশন ঘর, সরঞ্জাম ও বিভিন্ন সম্পত্তি। ২০১৯ সালে পুনরায় রেলপথটি চালু করার জন্য সমীক্ষা হলেও উদ্যোগটি থেমে আছে। এই রেলপথ চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর ও বিলোনিয়া স্থলবন্দরে পণ্য পরিবহন অনেক সহজ হবে। লাইনটি চালু হলে বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়বে ও মানুষের উপকার হবে। রেলপথটি দ্রুত সংস্কার করে পুনরায় রেল যোগাযোগ চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেই প্রত্যাশা।
ওমর ফারুক পারভেজ
শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা বিভাগ
আব্দুল হক চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ, ফেনী