ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ে ২৪ শতাংশ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ে ২৪ দশমিক ১ শতাংশ। খবর: রয়টার্স।

এফএও’র জরিপে দানাদার খাদ্যশস্যের পাশাপাশি ভোজ্যতেল ও দুগ্ধজাত পণ্যসহ পাঁচ ধরনের পণ্য থাকে। প্রতি মাসে খাদ্যপণ্যের গড় দামের এ সূচক প্রকাশ করে সংস্থাটি। পাশাপাশি বিশ্ববাজার এবং খাদ্যশস্য ও পণ্যের উৎপাদনের পূর্বাভাসও দিয়ে থাকে। এফএও জানায়, ফেব্রুয়ারিতে ‘খাদ্য মূল্যসূচক’ গিয়ে পৌঁছেছে ১৪০ দশমিক ৭ পয়েন্টে, আগের মাস জানুয়ারিতে যা ছিল ১৩৫ দশমিক ৪ পয়েন্ট।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সবশেষ ‘খাদ্য মূল্যসূচক’ তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক বাজার তথ্য সংগ্রহ করার পর দেখা গেছে ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের দামে রেকর্ড হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর আগে থেকেই এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভোজ্যতেল ও দুগ্ধজাত পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিকে এর প্রধান কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে এফএও’র এক প্রতিবেদনে। ইউক্রেনে যুদ্ধের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে পণ্যের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্য রপ্তানিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে এ যুদ্ধ। এফএও’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ভোজ্যতেলের দাম সাড়ে আট শতাংশ বেড়েছে। পাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের দাম বেড়ে যাওয়াকে এজন্য দায়ী করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইউক্রেন ও রাশিয়া বৈশ্বিক চাহিদার ৮০ শতাংশ সূর্যমুখী তেল সরবরাহ করে থাকে। একই সময় দানাদার শস্যের দাম বেড়েছে তিন শতাংশ, যার মধ্যে ৫ দশমিক ১ শতাংশ ভুট্টা ও ২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে গমের দাম। দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

সংস্থার অর্থনীতিবিদ উপালি গ্যালকেটি বলেন, খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে শস্য উৎপাদন পরিস্থিতি ও রপ্তানির পরিমাণের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। শস্য উৎপাদনের তথ্যের বদলে দাম বাড়ার পেছনের মূল কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে জ্বালানি, সার ও গবাদি পশুর খাবারের মতো খাতগুলোয় উচ্চ মূল্যস্ফীতি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০