ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: বছরের দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১২ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা (১ ডলার= ৮৬ টাকা)। এর আগের মাস জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার পাঠালেও এ মাসে ২১ কোটি ডলার কমেছে। তথ্য বলছে, গত মাসে প্রাপ্ত রেমিট্যান্স ২১ মাসের মধ্যে সর্বনিন্ম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কমছিল রেমিট্যান্স। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় বাড়লেও ফেব্রুয়ারিতে আবার হোঁচট খেয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৬১ লাখ ডলার ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা রেমিট্যান্সের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩১ কোটি ২৭ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের মধ্যে একটিতে এসেছে ২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১৪ কোটি ৯১ লাখ ডলার ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

বরাবরের মতো বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৪ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া ডাচ বাংলা ব্যাংকে এসেছে ১৮ কোটি ৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ, আগস্টে ১৮১ কোটি, সেপ্টেম্বর মাসে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ, নভেম্বর ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ, ডিসেম্বরে ১৬৩ কোটি ও জানুয়ারিতে এসেছে ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছর কভিড-১০-এর কারণে প্রবাসীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তা থেকে জমানো টাকা দেশে পাঠিয়েছেন। কেউ চাকরি হারিয়ে কিংবা ব্যবসা বন্ধ করে সব অর্থ পাঠিয়ে দেশে ফিরেছেন। এ ছাড়া ওই সময় অবৈধ চ্যানেলগুলোও বন্ধ ছিল। তাই বাধ্য হয়ে সবাই ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠিয়েছেন। ফলে গত বছর মাঝামাঝি পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশি ছিল।

এখন ব্যবসা-বাণিজ্য সচল হয়েছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, ভ্রমণসহ বহির্বিশ্বের সঙ্গে যাতায়াত বাড়ছে। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে চাহিদা বেড়েছে। এ ছাড়া সব টাকা না পাঠিয়ে অনেকে আবার জমাতে শুরু করেছেন। আবার সশরীরে যাওয়া-আসা শুরু হওয়ায় অনেকে বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে করে নিয়ে আসছেন। এসব কারণে চলতি অর্থবছরে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে।

এদিকে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স বাড়াতে গত মাসে নগদ সহায়তার আওতা বাড়িয়েছে সরকার। এখন থেকে বিদেশি সংস্থায় কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিদের ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, লিভ স্যালারি, বোনাস ও অন্যান্য গ্র্যাচুইটি এবং অবসর সুবিধার অর্থ দেশে এলে রেমিট্যান্সের সঙ্গে আড়াই শতাংশ নগদ সহায়তা পাবেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০