আপনজনের সান্নিধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির জন্যই নীড়ে ফেরা। মানুষ তাই ব্যাকুল থাকে ঘরে ফেরার জন্য। সুখকর স্মৃতি সঙ্গী করে আবার কাজের টানে আসে কর্মস্থলে। এই ফেরা ও আসা মোটেও সহজ নয় বাংলাদেশে।
গরিব মানুষের জন্য যানবাহন অপ্রতুল। মধ্যবিত্তের বেলায়ও তাই। ধনীদের রয়েছে গাড়ি; কিন্তু গাড়িই আটকে দেয় গাড়িকে। তাই প্রায় সবাই অসীম দুর্ভোগ পোহায় পুরো যাতায়াতে।
তবুও নির্বিঘেœ বাড়িতে ফেরার জন্য আগেভাগে ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন। ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়েই হোক কিংবা গণপরিবহনে আগেভাগে যাতায়াতের পরিকল্পনা থাকা ভালো। কোন রুটের কোন যানবাহন আপনি ও আপনার পরিবারের জন্য উপযুক্ত তা নির্ধারণ করুন।
বাজেট অনুসারে খরচ করুন। বেহিসাবি না হওয়াই উত্তম।
বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আরও একবার পরীক্ষা করে দেখুন চুলা বন্ধ করেছেন কি না। ঘরের কোথাও আলো জ্বলছে কি না। অনুরূপ কোনো ট্যাপ খোলা রয়েছে কী? ঠিকমতো সবকিছু লক করা হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করুন। উপরন্তু ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে তবেই বেড়াতে যান।
গরমের এ সময়ে সুতির পোশাক পরুন। টাইট পোশাকের পরিবর্তে ঢিলেঢালা পোশাক বেছে নিন।
সঙ্গে রাখুন পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী; যেমন: ওষুধ, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, চার্জার প্রভৃতি সঙ্গে নিন। চাইলে এক্সট্রা ব্যাটারি, মেমোরি কার্ড চেক করুন।
ফেরার পথে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাগটি নিজের কাছেই রাখুন। এতে দরকারি ছোটখাটো জিনিস রাখুন। এতে অনেক ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।
ঈদের ছুটি মাত্র তিন দিনের। এ সময় একসঙ্গে এত মানুষের ফেরা ও আসার কারণেই মূলত দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মাত্র তিন দিনের ছুটির পরিবর্তে ঈদের ছুটি কমপক্ষে সাত দিন করা উচিত। অনাবশ্যক ছুটিগুলো কমিয়ে ফেলে সাত দিন কিংবা তারও বেশি ছুটি সরকার চালু করতে পারে।
রাহুল সরকার