নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মা নদীতে নাব্য সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে তিন দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুই ঘাট মিলিয়ে প্রায় এক হাজারের ওপরে যানবাহন আটকা পড়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট থেকে এ রুটে রাতে ফেরি বন্ধ এবং দিনে সীমিত আকারে ফেরি চলছিল। এরপর ৩০ আগস্ট লৌহজং টার্নিং চ্যানেল ফেরি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার সকালে চ্যানেলের মুখে একটি ফেরি আটকে গেলে ঘাট কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধের নির্দেশ দেয়।
বিআইডব্লিউটিসি’র এজিএম মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, সবকটি চ্যানেলে নাব্য সংকট থাকায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ফেরি সার্ভিস শনিবারও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে শিমুলিয়া ঘাট এবং মাদারীপুর অংশের কাঁঠালবাড়ী ঘাট মিলিয়ে এক হাজারের বেশি গাড়ি এখন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে সময় গুনছে; এর মধ্যে শত শত পণ্যবাহী ট্রাকও রয়েছে। তিন দিন ধরে রাস্তায় অপেক্ষায় থাকা হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। অনেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া হয়ে অন্য যান নিয়ে ফিরে গেছে।
তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র সব চ্যানেল অচল থাকায় পদ্মা সেতুর নিজস্ব চ্যানেলে ছোট আকারের ফেরিগুলো চলছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সেই চ্যানেলও নাব্যতা হারায়; তাই পুরোপুরি ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। চ্যানেলে নাব্যতা ফেরাতে ড্রেজিং চলছে। মঙ্গলবার থেকে ফেরি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ পদ্মায় পালের চর দিয়ে একটি চ্যানেল মার্কিং করেছে জানিয়ে সফিকুল বলেন, এতে সাড়ে ৯ কিলোমিটারের পথ ২৮ কিলোমিটার ঘুরে চাঁদপুরের কাছাকাছি হয়ে গন্তব্যে যেতে ফেরিগুলোর ৫ থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা লাগবে। সেটিও প্রবল স্রোতের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ; এতে দুর্ভোগ আরও বাড়বে।