শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্লুমবার্গ।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এক বিবৃতিতে জানান, উত্তর কোরিয়া পূর্বদিকে সন্দেহজনক একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। জাপানের কোস্ট গার্ড উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কারণে জাহাজ চলাচলে সতর্কতা জারি করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। যুক্তরাষ্ট্রসহ তার মিত্র দেশগুলোও এর নিন্দা জানিয়েছে। যেকোনো ধরনের ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা ‘খুবই নিন্দনীয়’ বলে জানায় দেশগুলো। এ ধরনের ঘটনা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের বিরোধী বলে মনে করে তারা। গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, উত্তর কোরিয়া একটি সন্দেহজনক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। যদিও তা ব্যর্থ হয়।
গত ৫ জানুয়ারি বছরের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা হিসেবে পারমাণবিক শক্তিধর দেশটি নিজের পূর্ব উপকূলে হাইপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ করে। এর এক সপ্তাহের মধ্যে দেশটি দ্বিতীয়বারের মতো শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। ১৪ জানুয়ারি আবার অজ্ঞাত মিসাইল নিক্ষেপ করে বলে জানান দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের কর্মকর্তারা। এর তিন দিনের মাথায় চতুর্থবারের মতো নিজেদের পূর্ব উপকূলে একসঙ্গে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দেশটি। এরপর গত ২৫ জানুয়ারি সমুদ্রে দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এমনকি স্টেডিয়াম ও ট্রেন থেকেও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দেশটি। গত মাসেও কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দেশটি।
গত বছর বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। অক্টোবরের শুরুতে বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় দেশটি। এর আগে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। গত বছর সেপ্টেম্বরেও পিয়ংইয়ং ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ উভয় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।
পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া। এসব কর্মসূচিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ধারাবাহিকভাবে বিধিনিষেধ বাড়িয়েছে। কিন্তু সব নিষেধাজ্ঞা উপক্ষা করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।