শেয়ার বিজ ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর দেশটির পাঁচ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। খবর: রয়টার্স।
দেশটির রকেটশিল্প-বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ চার কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেজারি অফিস অব ফরেইন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি)। কোম্পানিগুলো হলোÑআনচন ট্রেডিং করপোরেশন, সাংনিসান ট্রেডিং করপোরেশন, হাপজানগাং ট্রেডিং করপোরেশন ও কোরিয়া রৌসান ট্রেডিং করপোরেশন।
নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) একাধিক প্রস্তাব লঙ্ঘন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বলে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া। এসব কর্মসূচিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ধারাবাহিকভাবে বিধিনিষেধ বাড়িয়েছে। কিন্তু সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
সবশেষ ২৪ মার্চ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে দেশটি। তখন দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এক বিবৃতিতে জানান, উত্তর কোরিয়া পূর্বদিকে সন্দেহজনক একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। জাপানের কোস্ট গার্ড উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কারণে জাহাজ চলাচলে সতর্কতা জারি করেছে।
গত ৫ জানুয়ারি বছরের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে দেশটি। এর এক সপ্তাহের মধ্যে দেশটি শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। ১৪ জানুয়ারি আবার অজ্ঞাত মিসাইল নিক্ষেপ করে বলে জানান দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের কর্মকর্তারা। এর তিন দিনের মাথায় চতুর্থবারের মতো নিজেদের পূর্ব উপকূলে একসঙ্গে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দেশটি। এরপর গত ২৫ জানুয়ারি সমুদ্রে দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এমনকি স্টেডিয়াম ও ট্রেন থেকেও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দেশটি। গত মাসেও কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দেশটি।
এর আগে গত বছর বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া।