ফের বড় পতনে পাট খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবার পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। এছাড়া গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সূচকের পতনে বড় পতন হয়েছে পাট খাতের শেয়ারে। এতে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। আগের কার্যদিবসে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছিল এবং তার আগের কার্যদিবসে (গত রোববার) খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছিল। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধান শেয়ারদরে বড় পতন হলো খাতটিতে।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ার। আলোচিত খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দিক থেকে গতকাল দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিমা খাত। শেয়ারদর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ছিল সিরামিক খাত।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১টির দাম বেড়েছে এবং ১টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৪টির শেয়ারদর বেড়েছে এবং ১০টি ছাড়া বাকি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।

গতকাল দর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা সিরামিক খাতে দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। আলোচ্য খাতে গতকাল ৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ৩টির অপরিবর্তিত ছিল। এছাড়া গতকাল ব্যাংক, টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, আর্থিক এবং সিমেন্ট খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে গতকাল শেয়ারদর কমেছে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গতকাল এ খাতের সব শেয়ারদর কমেছে। ১ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমে এরপরে ছিল ট্যানারি খাত। গতকাল শেয়ারদর কমায় তৃতীয় স্থানে থাকা কাগজ ও মুদ্রণ খাতে দর কমেছে ১ দশমিক ২০ শতাংশ।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে ডিএসইর মোট ১৬ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া আইটি খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বা দশমিক ২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২২৬ দশমিক ৫০ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বা দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৬৩ দশমিক ৩১ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯৯ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গতকাল ৩২২ কোটি ৪১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৩৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৪৫৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকার। গতকাল ডিএসইতে ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১৪টির বা ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ৬৫টির বা ২০ দশমিক ৭০ শতাংশের এবং ২৩৫টির বা ৭৪ দশমিক ৮৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭ দশমিক ০৪ পয়েন্ট বা দশমিক ১৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৭৭ দশমিক ৪ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ১৩২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৩টির ও ৭৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল সিএসইতে ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০