শেয়ার বিজ ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার পুঁজিবাজারগুলো আজ সোমবার থেকে শর্ট সেলিং শেয়ার বিক্রি নিষিদ্ধ করছে। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। খবর: রয়টার্স।
গতকাল রোববার দেশটির আর্থিক খাতের কর্তৃপক্ষ জানায়, সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য পুনরায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। ২০২১ সালের মে মাসে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
কোসপি ২০০ এবং কোসডাক ১৫০ সূচকে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। অন্য সূচকগুলোর ক্ষেত্রেও একই বিধিনিষেধ বহাল ছিল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের একটি অ্যাডভান্স ট্রেডিং কৌশল এই শর্ট সেলিং। এই বিনিয়োগ কৌশলের মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারী শেয়ারদর কমতে পারে এমন অনুমান করে তা আগাম বিক্রয় করে মূনাফা অর্জন করার চেষ্টা করেন। সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠান আর্থিক সমস্যায় থাকলে তাদের নিয়ে এ ধরনের শর্ট সেল করেন বিনিয়োগকারীরা।
ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কমিশনের (এফএসসি) চেয়ারম্যান কিম জো-হিউন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাধারণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সুষম প্রতিযোগিতা বজায় রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আর্থিক বাজারগুলোয় অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশিরভাগ বিদেশি বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলো অনৈতিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত… এবং আমরা আশঙ্কা করছি যে, সুষ্ঠু ব্যবসায়িক পরিবেশ বজায় রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এফএসসি আগামী বছরের জুন পর্যন্ত বাজার পর্যালোচনা করবে। এ সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।
গত সপ্তাহে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বলেছে, তারা একটি তদন্তকারী দল গঠন করবে। তারা বিদেশি বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলোর অবৈধ শর্ট সেলিং লেনদেন বন্ধে সহায়তা করবে।
এছাড়া ন্যাকেড শর্ট সেলিং বন্ধের জন্যও কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ ধরনের ট্রেডিংয়ের বেলায় মূলত সুকৌশলে আগে শেয়ার বিক্রি করে পরে কেনা হয়, যা দক্ষিণ কোরিয়ায় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এ ধরনের শেয়ার বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার ফাইন্যান্সিয়াল সুপারভাইজরি সার্ভিস (এফএসএস) হংকংভিত্তিক দুটি বিনিয়োগ ব্যাংককে জরিমানা করে।