শেয়ার বিজ ডেস্ক: মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে সুদের হার বাড়িয়ে যাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ গত জুনে সুদের হার বাড়িয়েছিল বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশটি। এরই মধ্যে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছিল। তারপরও ফের সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খবর: দ্য ইকোনমিক টাইমস।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বুধবার সুদের হার বাড়ানো হতে পারে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ২২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে রক্ষণশীল আর্থিক অবস্থানের দিকে ঝুঁকছে ফেডারেল রিজার্ভ বা ফেড।
সর্বশেষ এক বছর বা তার চেয়ে কিছু বেশি সময়ের মধ্যে ১০ বার সুদের হার বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণ পরিশোধ নিয়েও বেশ চাপে রয়েছে দেশটির সরকার। পাশাপাশি ঋণ নিয়ে ব্যাংকিং সেক্টরের অবস্থাও বেশ নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অর্থনীতিকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে আরও সময় চেয়েছিলেন নীতিনির্ধারকরা। এর জেরে গত মাসে নিজেদের আগ্রাসী মনোভাব থেকে সরে এসেছে ফেডারেল ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নীতি থেকে সরে আসার পরের সপ্তাহগুলোয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে। নতুন করে সুদের হার বাড়ানো হবে কি না, তা ঠিক করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার পরিমাপক কমিটির ভোটাভুটি হবে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২৫ বা ২৬ জুলাই সুদের হার কয়েক পয়েন্ট বাড়ানো হতে পারে।
ভোটাভুটির পর ফেড ফান্ডের হার পাঁচ দশমিক ২৫ থেকে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশের মধ্যে রাখবেন নীতিনির্ধারকরা, যা ২০০২ সালের পর সর্বোচ্চ।
পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের (পিআইআইই) সিনিয়র ফেলো জোসেফ গ্যাগনন বলেন, আমি নিশ্চিত পরবর্তী সভায় ফেডারেল ব্যাংক ফেড ফান্ডের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়াবে। এ নিয়ে আমি বাজি ধরতে পারি।
ব্যাংক অব আমেরিকার প্রধান অর্থনীতিবিদ মাইকেল জাপেন সম্প্রতি এক নোটে লেখেন, অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধীরে ধীরে হচ্ছে। কেন সুদের হার বাড়ানো হতে পারে, তা জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ লেখেন, আমাদের ধারণা, কমিটির বেশিরভাগ সদস্য সরবরাহ ও চাহিদার সমন্বয় এবং মূল্যস্ফীতি কমার পরিস্থিতিকে ধরে রাখতে সুদের হার বাড়াবেন।