শেয়ার বিজ ডেস্ক: সম্প্রতি পাঁচ কোটি গ্রাহকের তথ্য পাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিকে বর্জনের ঝড় উঠেছে। এর প্রভাব পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদরে। গত এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে প্রায় ১৩শতাংশ এবং বাজারমূল্য কমেছে পাঁচ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। খবর বিবিসি।
গত সোমবার সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমটির প্রতি শেয়ারের দর ছিল ১৭৬ ডলার ৮০ সেন্ট। কিন্তু শুক্রবার এ শেয়ারের দর ১৫৯ ডলারে নেমে আসে। গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম এতটা কমে যাওয়া নজিরবিহীন। ২০১২ সালে প্রতি শেয়ার ৩৮ ডলারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসে ফেসবুক। একচেটিয়া ব্যবসায় সেই শেয়ারের দর গত ফেব্রুয়ারিতে ১৯০ ডলারে পৌঁছেছিল।
অভিযোগ উঠেছে, ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল ফেসবুক। ওই অ্যাপের মাধ্যমে কোটি কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। সেই তথ্য পরে ব্যবহার করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের কাজে। এ কাজের সঙ্গে জড়িত এক অধ্যাপক সম্প্রতি মুখ খোলায় প্রকাশ্যে এসেছে সবকিছু। এখন পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদেরা।
ফেসবুকের তথ্য বেহাত কেলেঙ্কারির প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এতে চাপে রয়েছে ফেসবুক। চিন্তিত বিনিয়োগকারীরা।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত হয়েছে শুনেও চুপ ছিলেন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমটির প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। চারদিক থেকে জাকারবার্গের সমালোচনা হচ্ছিল। অবশেষে নীরবতা ভেঙে সম্প্রতি ভুল স্বীকার করেছেন। মেনেই নিয়েছেন যে, রাজনৈতিক পরামর্শক এক প্রতিষ্ঠানের কাছে কোটি কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চলে গেছে। আর সবকিছুর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
ফেসবুকের সাম্প্রতিক এ ‘কেলেঙ্কারি’ সম্পর্কে জবাবদিহি করার জন্য কংগ্রেসে শুনানিতে যেতে হবে জাকারবার্গকে। তিনি বলেছেন, এখন তার প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের তথ্যে ঢোকার সুযোগ আছেÑএমন সব অ্যাপ নিয়ে তদন্ত করবে।
