Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 12:47 pm

ফেসবুকে উসকানি ও ক্ষতিকর কনটেন্ট সরাতে হাইকোর্টের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে উসকানিমূলক ও ক্ষতিকর কনটেন্ট সরাতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

একই সঙ্গে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ক্ষতিকর কনটেন্ট সরাতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে নাÑরুলে তা জানতে চেয়েছেন। এছাড়া ফেসবুক থেকে ক্ষতিকর কনটেন্ট অপসারণের যে ক্ষমতা দেয়া আছে, সেটা প্রয়োগ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে নাÑরুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খোন্দকার রেজা-ই রাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।

গত বছর ২০ ডিসেম্বর ফেসবুকে থাকা ক্ষতিকর কনটেন্ট সরাতে চারজনের পক্ষে এ রিট করেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল। রিটকারী চারজন হলেনÑজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক এসএম মাসুম বিল্লাহ, আইনজীবী জর্জ চৌধুরী, ঢাকার বাসিন্দা সেলিম সামাদ ও ভিক্টর রায়।

ওই বছর ১৮ নভেম্বর চার ব্যক্তির পক্ষে রেজিস্ট্রি ও ই-মেইলে আইনি নোটিস পাঠান আইনজীবী তাপস কান্তি বল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে ক্ষতিকর কনটেন্ট সরাতে এর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে বিবাদী করা হয় লিগ্যাল নোটিসে।

জাকারবার্গ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালকে বিবাদী করা হয় রিটে।

আইনজীবী তাপস কান্তিবল বলেন, এটা আজ শুনানির সময় প্রথমত আদালত বিটিআরসির প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন। বিটিআরসির আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, তারা এরই মধ্যে একটি রেগুলেশন ড্রাফট করে ফেলেছেন। এটা এখন গণশুনানির পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যে এটা করে ফেলতে পারবেন।