শেয়ার বিজ ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগলের বিরুদ্ধে গ্রাহকের গোপন আর্থিক তথ্য গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুক ও গুগলকে ব্যবহারকারীর গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক অবস্থার এ তথ্য জানিয়ে দিচ্ছে কিছু ট্যাক্স ফাইলিং ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যার। খবর: সিএনবিসি।
ট্যাক্স অ্যাক্ট, ট্যাক্সসেøয়ার ও এইচঅ্যান্ডআর ব্লক ব্যবহারকারীদের আর্থিক অবস্থার তথ্য ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা ও গুগলের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে ট্যাক্স ফাইলিং ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যারগুলো। এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেটা-ড্রাইভেন জার্নালিজম প্রতিষ্ঠান দ্য মার্কআপ।
ট্যাক্স ফাইলিং ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যারগুলো তাদের কোড পিক্সেলের মাধ্যমে মেটার কাছে ব্যবহারকারীর নাম, ই-মেইল ঠিকানা, আয়ের তথ্য ও ফেরতের পরিমাণের তথ্য পাঠায়। এ ধরনের তথ্য পাঠানো ও গ্রহণ নীতির লঙ্ঘন। ট্যাক্স অ্যাক্ট অ্যানালিটিক্যাল টুলের মাধ্যমে গুগলের কাছে ব্যবহারকারীর আর্থিক অবস্থার তথ্য পাঠিয়েছে। যদিও সেখানে কারও নাম উল্লেখ ছিল না।
ফেসবুক একটি পিক্সেল ব্যবহার করে। এটি মূলত ওয়েবসাইটে এমবেড করা থাকে। কেউ যখন ফেসবুকে প্রবেশ করেন, তখন এ পিক্সেল ফেসবুককে বার্তার মাধ্যমে তা জানিয়ে দেয়। এছাড়া আগে ভিজিট করা সাইটের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ পিক্সেল ব্যবহারকারীকে বিজ্ঞাপন দেখার অনুমতি দেয়। বিজ্ঞাপনের অ্যালগরিদম শক্তিশালী করতে ফেসবুক ট্যাক্স ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য ব্যবহার করতে পারে। এমনকি ট্যাক্সের সেবা নেয়া ওই ব্যবহারকারীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও তা নিতে পারে। মূলত ব্যবহারকারীদের ফেসবুক যে নজরদারিতে (ট্র্যাক) রাখে, এটা তার একটা উদাহরণ।
মেটার একজন মুখপাত্র বলেন, আমাদের ব্যবসায়িক টুল ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনদাতাদের ব্যক্তি সম্পর্কে সংবেদনশীল তথ্য পাঠানো উচিত নয়। এটি আমাদের নীতির পরিপন্থি। আর গুগলের একজন মুখপাত্র বলেন, গুগল অ্যানালিটিকসের যেকোনো তথ্যই অস্পষ্ট। এর অর্থ এটা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে সংযুক্ত নয়। আমাদের নীতিমালা ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করা যায়, এমন তথ্য পাঠাতে গ্রাহকদের নিষেধ করে।
ট্যাক্সসেøয়ার ব্যবহার করে এমন একটি আর্থিক পরামর্শক ও সফটওয়্যার কোম্পানি রামসে সলিউশনের একজন মুখপাত্র বলেন, এটা কখনও জানানো হয়নি যে ফেসবুক পিক্সেলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ট্যাক্স তথ্য সংগ্রহ করছে।