শেয়ার বিজ ডেস্ক: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এক নারীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক স্টোরিতে কমেন্ট ও হা হা রিয়্যাক্ট দেওয়ার জেরে ছুরিকাঘাতে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনায় রোববার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় নিহত ফারুকের বাবা আলম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার চর আলীনগর এলাকার আবু তাহেরের ছেলে জাহিদ, কোচেরচর এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে ইয়াসিন, দৌলতপুর এলাকার আ. রশিদের ছেলে রোকন, একই এলাকার খোকা মিয়ার ছেলে বাসেদ, নুরুল ইসলামের ছেলে জহুরুল, মোস্তফার ছেলে বেলায়েত, সিরাজুল ইসলামের ছেলে শেখ সাহেদ, কোচেরচর এলাকার রশিদের ছেলে সাইজুল, মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে ফয়সাল ও কাপাসিয়ার চরসনমানিয়া এলাকার রিপনের ছেলে মারুফ। তাদের সবার বয়স ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
সোমবার (১৪ মার্চ) সকালে গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইয়াসমিন জানান, তিনজনের নিহতের ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও মামলাটিতে অজ্ঞাত আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার জাহিদের স্ত্রী মারিয়া ওরফে রুবিনা ফেসবুক স্টোরিতে একটি ছবি পোস্ট করে। ওই স্টোরিতে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নিহত নাঈম কমেন্ট ও হাসির রিয়্যাক্ট দেন। এ নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত হয়।
কমেন্টের জেরে নরসিংদীর সীমান্তবর্তী মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর এলাকার ইয়াসিনের সহযোগী একদল ছেলের সঙ্গে কাপাসিয়া উপজেলার সন্মানীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণগাও (চরপাড়া) গ্রামের নাঈমের মারামারি হয়। একপর্যায়ে তারা একে অপরকে ছুরিকাঘাতে আহত করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আট জন আহত হন।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নাঈমের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের সূত্রে পরিচয় হয় মারিয়ার। এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। মারিয়া ও তার স্বামী জাহিদ পলাতক রয়েছেন।তাদেরকে খুঁজে পেলেই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করা যাবে।