শেয়ার বিজ ডেস্ক: আসন্ন বাজেটে মোবাইল ফোনের ওপর শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। দেশটির কেন্দ্রীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারে। খবর: জিও নিউজ।
এর আগে পাকিস্তান সরকার মোবাইল ফোনের ওপর ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে। জানা গেছে, আগামী ৯ জুন নতুন বাজেট ঘোষণা করা হবে দেশটিতে। এতে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন ঘটতে পারে।
পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। আকাশচুম্বী হয়েছে সব পণ্যের দাম। দেশটির প্রধান সমস্যা মূল্যস্ফীতি। পাকিস্তান সরকারের ব্যর্থতার কারণে দেশটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। রেকর্ড মূল্যস্ফীতির কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নিম্ব ও মধ্য আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়মিতভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েছে নির্ধারিত অঙ্কের বেতনভোগীরা। অন্যরা অবশ্য তাদের সেবা আর শ্রমের দাম বাড়িয়ে এবং ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে কম বেতন পান-এমন গোষ্ঠীই সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তাই মোবাইল ফোনের ওপর শুল্ক কমানোর চিন্তা করছে দেশটির সরকার।
জ্বালানি ও খাদ্যের উচ্চমূল্য এবং মুদ্রার দুর্বলতার কারণে পাকিস্তানে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ২৯ দশমিক ৫ শতাংশে উঠতে পারে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক। এর ফলে সাধারণ মানুষের দুর্গতি আরও বাড়বে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুল্ক বাড়ানোর ফলে পাকিস্তানের মোবাইল ইন্ডাস্ট্রি ভেঙে পড়েছে। এতে শুধু ব্যবসায়ীরা নয়, বেকায়দায় পড়েছে সাধারণ মানুষও।
এদিকে অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থার কারণে পাকিস্তানে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা ক্রমে দুর্বল হচ্ছে।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দেশটির মুদ্রা খোলাবাজারে আরও দুর্বল হবে। তবে আশা করা হচ্ছে আন্তঃব্যাংক বাণিজ্যে সীমার মধ্যেই থাকবে।
প্রায় প্রতিদিন পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। কারণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।