Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 10:04 pm

ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টায় যুক্তরাজ্য

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইতালির রোমে স্থানীয় সময় শনি ও রোববার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ধনী দেশগুলোর জোট জি-২০ এর দু’দিনের শীর্ষ সম্মেলন। সম্মেলন উপলক্ষে রোমে উপস্থিত হয়েছেন শীর্ষ নেতারা। জি-২০ সম্মেলন শেষ করে বিশ্বনেতারা যোগ দেবেন ‘কপ-২৬’ সম্মেলনে। তবে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে নিরাপত্তা জোট গড়ার চুক্তি ‘অকাস’ এর কারণে ক্ষতির শিকার হয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো ফ্রান্সের সঙ্গে বরফ গলাতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে বৈঠক করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার ইতালির রোমে ভ্যাটিকানস্থ ফরাসি দূতাবাসে দুই প্রেসিডেন্ট এ বৈঠক করেন। ম্যাখোঁকে অকাস চুক্তি নিয়ে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একেবারেই আনাড়ির মতো এ চুক্তি করেছে। খবর: বিবিসি, রয়টার্স।

বিবিসি জানায়, অকাস চুক্তি নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে বিরোধের পর ম্যাখোঁর সঙ্গে বাইডেনের এটিই প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। এ সপ্তাহে জি-২০ সম্মেলনের প্রাক্কালে বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বাইডেন এ বৈঠক করলেন।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের হুমকি মোকাবিলায় গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার নেতারা যৌথ এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ‘অকাস’ নামে ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা জোট গড়ার ঘোষণা দেন। চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরিতে প্রযুক্তি সরবরাহ করার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের। আর এখানেই ক্ষুব্ধ হয়েছে ফ্রান্স।

ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টায় যুক্তরাজ্য: এদিকে দ্বিপক্ষীয় উত্তেজনা চলার মধ্যেই ফ্রান্সকে সবচেয়ে ভালো, পুরোনো ও ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে উল্লেখ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে আসন্ন বৈঠকে উত্তেজনা হ্রাসের চেষ্টা চালাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার জি-২০ সম্মেলনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর উড়োজাহাজে বসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জনসন।

ব্রেক্সিট-পরবর্তী জলসীমায় মাছ ধরার অধিকার নিয়ে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বিরোধ চলছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা চুক্তি নিয়েও প্যারিসের ক্ষোভ রয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার একটি ব্রিটিশ মাছ ধরার ট্রলার আটক করে ফ্রান্স সরকার। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে তলবও করে যুক্তরাজ্য।

জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে তাদের দুজনের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত একটি বৈঠকও হওয়ার কথা রয়েছে। উড়োজাহাজে বসে সাংবাদিকদের দেয়া সাক্ষাৎকারে এ বৈঠক নিয়ে কথা বলেন বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স হলো আমাদের সবচেয়ে ভালো, পুরোনো ও ঘনিষ্ঠ মিত্র বন্ধু ও সহযোগী দেশগুলোর একটি।