ফ্লোর প্রাইস আরোপের প্রভাবে ৯৫% সিকিউরিটিজের দর বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে টানা দরপতন ঠেকাতে সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বেশ কিছু পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ফের পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ এবং হাই নেটওয়ার্ক ইন্ডিভিজুয়ালসদের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক।

গতকাল চলতি হিসাববছরের প্রথম কার্যদিবসে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস আরোপের প্রভাব দেখা গেছে। ফলে এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৯৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। সিংহভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধির ফলে এদিন আড়াই শতাংশের বেশি বেড়েছে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স।

এদিকে গত সপ্তাহের শুরুতে দুই কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও ফের শেষ দুই কার্যদিবসে টানা পতন দেখা যায়। এর আগে ঈদুল আজহার ছুটির পর থেকে টানা ৯ কার্যদিবস পতনের মধ্যে ছিল দেশের পুঁজিবাজার। গত সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে হাই নেটওয়ার্ক ইন্ডিভিজুয়ালসদের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বড় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেয় বিএসইসি। কমিশনের এ তাগিদে সাড়া দিয়ে এখন থেকেই মার্কেট মেকারের ভূমিকা পালন করবেন বলে আশ্বাস দেন তারা। বড় বিনিয়োগকারীদের এমন আশ্বাসের জেরে পরদিন দেশের পুঁজিবাজারে সামান্য উত্থান দেখা যায়। কিন্তু এরপর থেকে ফের বাজারে ধারাবাহিক পতন দেখা গেছে। এরপর গত বৃহস্পতিবার বিএসইসি ফের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর পতনের সর্বনি¤œ সীমা বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দিয়েছে; যা গতকাল রোববার থেকে কার্যকর হয়েছে। আর এটি কার্যকরের প্রথম দিনেই সূচকের এমন বড় উত্থান দেখা গেছে।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫৩ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৩১ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৩৩৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। আর ডিএস৩০ সূচক ৪৮ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৯৩ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে লেনদেন হয় ৫৬৭ কোটি ৯৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৪১ কোটি ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১২৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

গতকাল সূচক বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে দেখা যায় গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, রবি আজিয়াটা, ওয়ালটন, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, ইউনাইটেড পাওয়ার, লাফার্জহোলসিম, স্কয়ার ফার্মা ও বেক্সিমকো লিমিটেডের।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০