বগুড়ায় আগাম জাতের শিম চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

পারভীন লুনা, বগুড়া: শিম শীতকালীন সবজি। কিন্তু গ্রীষ্মে আগাম লাগানো শিম চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। বগুড়ার পল্লী মঙ্গল  ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে আগাম জাতের শিম। আগাম শিম বাজারে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কৃষকরা পাইকারি ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে শিম বিক্রি করছেন। আগাম শিম চাষ করে এ এলাকার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ফুলে ফুলে ভরে গেছে শিমগাছ। কৃষক শিমক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকরা বলছেন, কীটনাশকের দাম অনেকটা বেশি। কিন্তু পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শিম ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় বেশ লাভ হবে। বগুড়ার শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ, শেরপুর, কাহালু ও গাবতলী উপজেলায় এরই মধ্যে শীতের আগাম জাতের শিমে ভরে উঠেছে মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি শিম গাছ।

মাঠের পর মাঠ শিমের আবাদে ভরে গেছে। অনেক কৃষক শিমের ক্ষেতে কাজ করছেন। আবার কেউ ক্ষেত থেকে শিম তুলছেন। পল্লী মঙ্গল হাটের পাশে মাঠে দেখা যায়, শিমচাষি জমি পরিচর্যা করছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার নাম কুদ্দুস। তিনি বলেন, আগাম জাতের শিম চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। আগাম লাগানো এ শিম গাছ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শিম পাওয়া যায়। ছয় মাসে তিনি ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন। অবশ্য বাজার ভালো থাকলে অনেক সময় লাখ টাকার শিম বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

নারুয়ামলা গ্রামের আব্বাস মিয়া বলেন, দুই বিঘা জমিতে শিমের আবাদ করেছেন। তাদের মতো বগুড়া জেলার বিভিন্ন গ্রামের একাধিক চাষি শিমের আবাদ করেছেন। এসব চাষি ক্ষেত থেকে শিম তুলে কয়েক দফায় বাজারে বিক্রিও করেছেন। দাম ভালো পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দুলাল হোসেন জানান, এ বছর বগুড়ায় আগাম জাতের শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে দুই হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে, যা থেকে আগাম শীতকালীন প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যাবে। আগাম শীতকালীন সবজির চাষ আরও বাড়বে। গত বছর তিন হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ করেছিলেন চাষিরা। তা থেকে গত বছর প্রায় ৫৪ হাজার মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়। বগুড়ায় চাষকৃত সবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়ে থাকে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০