প্রতিনিধি, বগুড়া: বগুড়ার শিবগঞ্জে হাফিজার রহমান (৭০) নামের এক ভ্যানচালককে চেতনানাশক প্রয়োগ করে হত্যার পর অটোভ্যান ছিনিয়ে নেয়া চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই করা অটো ভ্যানটি। গতকাল শনিবার বগুড়ার পুলিশ সুদীপ কুমার চক্রবর্তী তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, এ চক্রটি নারীদের যাত্রী হিসেবে ব্যবহার করে অটোভ্যান ছিনতাই করে থাকে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেনÑগাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার পলাশগাছি গ্রামের মজনু মণ্ডল (৩২), তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম (২৬) তার ভগ্নিপতি মজনু মিয়া, শিবগঞ্জ থানার রহবল পশ্চিমপাড়া গ্রামের সাইদুর মণ্ডল ওরফে মগা (৩২)।
জানা গেছে, শিবগঞ্জ থানার মেঘা খর্দ্দ দক্ষিণপাড়া গ্রামের অটোভ্যান চালক হাফিজুর রহমান (৭০) গত ১৬ ডিসেম্বের সকালে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যার পর মোকামতলা-সোনাতলা সড়কে আমঝুপি তিনমাথা এলাকায় স্থানীয় লোকজন অচেতন অবস্থায় হাফিজুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর ভোরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার এসআই রিপন মিয়া তদন্ত নেমে চক্রটির সন্ধান পান। পরে গত শুক্রবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, ১৬ ডিসেম্বর বিকালে মজনু মণ্ডল তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম ও ভগ্নিপতি মজনু মিয়া যাত্রী সেজে অটো ভ্যানে চড়ে। একপর্যায় তারা সোনাতলা সড়কে ডাকুমারা বাজারে ভ্যানচালকসহ চা পান করে। এ সময় মাহমুদা বেগম কৌশলে ভ্যানচালকের চায়ের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয়। এরপর মোকামতলার দিয়ে আসার সময় ভ্যানচালক অচেতন হয়ে পড়লে তাকে সড়কের পার্শ্বে ফেলে রেখে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ভ্যানটি সাইদুর মণ্ডল মগার মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রহবল দক্ষিণপাড়ার হাসান আলীর বাড়ি থেকে অটো ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়।