পারভীন লুনা, বগুড়া: দীর্ঘ ১০ বছর পর বগুড়ায় প্রকাশ্যে মিছিল সমাবেশ করেছে জামায়াত-শিবির। ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। তার আগে ২০১৩ সালের জুন মাসে জামায়াত-শিবির শহরের সাতমাথায় ঝটিকা মিছিল করেছিল।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে শহরের সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে সমাবেশ করে। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
শুক্রবারের বিক্ষোভ মিছিলের জন্য গত বৃহস্পতিবার জামায়াতের একটি প্রতিনিধিদল জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অনুমতি নিতে গিয়েছিলেন। বগুড়া শহর জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধিদল অনুমতির জন্য গেলে তাদের দলীয় ব্যানার ব্যবহার করে মিছিল করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ সুপার।
অ্যাডভোকেট রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা জামায়াতে ইসলামের ব্যানারে মিছিল সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। তবে পুলিশ রাজনৈতিক ব্যানারে মিছিল করার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। যেহেতু এটি একটি ধর্মীয় কর্মসূচি, এ জন্য তারা মিছিল করতে নিষেধ করেননি। শুধু তারা রাজনৈতিক দলের ব্যানার বাদ দিতে বলেছেন। পরে দলীয় সিদ্ধান্তে তা ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে করার সিদ্ধান্ত হয়।’
শুক্রবার মিছিল শুরুর আগে সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বগুড়া জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির ও ওলামা মাশায়েখ পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসাইনের সভাপতিত্বে সমাবেশ বক্তব্য রাখেন বগুড়া শহর জামায়াতের আমির আবিদুর রহমান সোহেল, শহর জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি ও ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ বেগ প্রমুখ। মিছিল শুরুর পর সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর বিরুদ্ধে সেøাগানের পাশাপাশি দলীয় সেøাগানও দেয়া হয় মিছিল থেকে। মিছিলটি স্টেশন সড়কে সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে থেকে বের হয়ে শহরের সাতমাথা, থানার মোড়, বড়গোলা মোড় থেকে আবারও সাতমাথা হয়ে সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে শেষ হয়। এ মিছিল উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম জানান, কোনো রাজনৈতিক দলকে মিছিল সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। ধর্মীয় বিষয়ে ওলামা মাশায়েখ ও মুসল্লিরা মিছিল করায় তাদের কোনো বাধা দেয়া হয়নি, বরং শান্তিপূর্ণ মিছিল করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। তারাও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে ফিরে গেছেন।
