প্রতিনিধি, বগুড়া: বগুড়ার কাহালুতে দেশীয় অস্ত্র (একনলা বন্দুক) তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু পরিমান অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। এই ঘটনায় ২ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ চক্রবর্তী তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, কাহালু থানার মালঞ্চা ইউনিয়নের শিবা কলমা গ্রামের মৃত দেবেন্দ্রনাথের ছেলে নিলু চন্দ্র প্রামানিক (৪৫) ও তার ছেলে সঞ্জিত চন্দ্র প্রামানিক (২২)।
এর আগে পুলিশ শেখ কলমা গ্রামের আকরাম হোসেন বাবলুর ছেলে শামিম হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করে। সেই সূত্র ধরে পুলিশ অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান পান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শিবা কলমা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে একরাম হোসেনকে দুই পায়ের হাঁটুতে গুলি করা হয়। এঘটনায় পুলিশ ওই রাতেই শামীমকে গ্রেপ্তার করে। সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ নিলু প্রামানিকের বাড়িতে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায়। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমবার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল নিলু প্রামানিকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় বাড়ির টয়লেটের কাছে মাটির নীচে পলিথিনে মোড়ানো ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয় একনলা বন্দুক তৈরির সরঞ্জাম। উদ্ধারকৃত সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে একনলা বন্দুক তৈরির ব্যারেল ৫টি, লোহার তৈরি রিকয়েলিং স্প্রিং ৩টি, ফায়ারিং পিন ৬টি, বন্দুকের ট্রিগার ৬টি, বন্দুক তৈরির স্টীলের খাপ ৫টি, স্টীলের নল ৪টি, বিভিন্ন সাইজের লোহার পাত ১৯ টি, ব্যারেলে অংশ ১টি, ৩টি লোহার খাজ কাটা রডসহ অন্যান্য সরঞ্জাম।
কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমবার হোসেন বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে একরাম হোসেন বগার দুই পায়ে গুলি করে শামিম। এলাকায় তাদের পৃথক পৃথক গ্রুপ রয়েছে। এই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। অস্ত্র তৈরির সাথে বিভিন্ন এলাকার আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে।