শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পুনর্র্নির্বাচিত করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বাসস।
তিনি গতকাল রোববার বগুড়া জেলার আদমদিঘীতে সান্তাহার স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯ সালের মধ্যে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, আপনারা যদি এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান তাহলে সেই নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করে দেবেন। যাতে আমরা আবার আপনাদের সেবা করার সুযোগ পাই।’
শেখ হাসিনা বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ আবারও পিছিয়ে যেতে পারে শঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি শুধু এটুকুই বলবো, নৌকা আদমদিঘী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনসার আলী মৃধার সভাপতিত্বে জনসভায় সভায় আরও বক্তৃতা করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মামুদ স্বপন, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, আবদুল মান্নান এমপি, হাবিবুর রহমান এমপি, শহীদুজ্জামান সরকার এমপি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের যে দারিদ্র্যের হার যা বিএনপির আমলে ছিল ৪৭ শতাংশ আমরা যাকে ২২ শতাংশে নামিয়ে এনেছি, আমাদের লক্ষ্য তা ১৫ শতাংশে কমিয়ে আনা। প্রত্যেক গৃহহারা নদীভাঙা মানুষ ঘর পাবে, আশ্রায়ণের মাধ্যমে আদর্শ গ্রাম ও গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে গৃহহীনকে ঘর করে দেওয়া হচ্ছে, প্রতিটি ছেলেমেয়েকে বিনা পয়সায় বই দেওয়া হচ্ছে, যদি, আপনারা চানÑএটা অব্যাহত থাকুক, যদি আপনারা কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা অব্যাহতভাবে পেতে চান, ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনা মূল্যে পাওয়া অব্যাহত রাখতে চান তাহলে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেনÑবলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কেউ বেকার থাকবে না, সেজন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সারা দেশে পাঁচ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে বহুলোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। সেখানে একজন ছেলে এবং একজন উদ্যোক্তা রাখা হয়েছে। আপনারা গ্রামে বসেই যেন বিদেশ থেকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা রোজগার করতে পারেন সেজন্য ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’-এর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে একটু উদ্যোক্তা হলে তারা নিজেরাই ব্যবসা-বণিজ্য করে নিজেদের ভাগ্য গড়ে নিতে পারবে।
শেখ হাসিনা সারা দেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় তার সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল করার জন্য বগুড়াতেও জায়গা দেখা হচ্ছে। অন্যান্য বড় জেলাগুলোয় এবং ছোট জেলার দু-তিনটা জেলা মিলে একটি করে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, যেখানে শিল্প-কলকারখানা গড়ে উঠবে, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প হবে। সেখানে মানুষের যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য করে আর্থিক সচ্ছলতাও আসবে। সেভাবেই বিরাট পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু এগুলো যদি বাস্তবায়ন করতে হয়, তাহলে সরকারের ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। ওই লুটেরা, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ওই বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে এ দেশের কোনো উন্নয়ন হবে না। সবই থেমে যাবে, তারা নিজেরাই খাবে। কাউকে দেবে না।
‘আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসা মানে সবাইকে দেবে, সকলের জন্য উন্নয়ন হবে, প্রত্যেকের জীবন সুন্দর ও উন্নত হবে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, তার সরকার কোনো একটি বিশেষ এলাকার নয়, সমগ্র দেশের উন্নয়নেই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। যদিও বেগম জিয়া তার শাসনামলে গোপালগঞ্জকে উন্নয়নের ধারা থেকে বাদ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লাহই বলেছেন নিয়ত গুণেই বরকত, যে কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায় দেশের উন্নতি হচ্ছে।
Add Comment