প্রতিনিধি, বগুড়া: উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে এক বছরের পল্লী চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ নিয়ে নাক কান ও গলা বিশেষজ্ঞ সেজেছেন কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক ব্যক্তি। এই পরিচয়ে তিনি বগুড়ার আদমদীঘিতে একটি ক্লিনিকে নিয়মিত রোগী দেখতেন। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যরা অনুসন্ধান করে জানতে পারেন আব্দুর রশিদ একজন ভুয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে তিনি দোষ স্বীকার করলে ৬ মাস কারাদণ্ড দিয়ে পাঠানো হয় বগুড়া জেলা কারাগারে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে আদমদীঘি উপজেলা সদরে আল সাফি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, আব্দুর রশিদ গত একমাস আগে বগুড়া আসেন এবং আল সাফি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে নিজেকে নাক কান গলা ও থাইরয়েড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সার্জন হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি সেখানে নিয়মিত রোগী দেখা শুরু করেন। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে অনুসন্ধান চালান এবং আব্দুর রশিদ ভুয়া চিকিৎসক নিশ্চিত হন।
এরপর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপম দাসের নেতৃত্বে র্য্যাব ও এনএসআই সদস্যরা আদমদীঘি উপজেলা সদরে আল সাফি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপম দাস বলেন, ভুয়া চিকিৎসক আব্দুর রশিদকে আটকের পর তিনি দোষ স্বীকার করায় তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।