Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 12:18 pm

বগুড়ায় ৩ শতাধিক বন্যপাখি উদ্ধার করে অবমুক্তকরণ

প্রতিনিধি,বগুড়া : বগুড়ায় অবৈধভাবে বন্যপাখি সংরক্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডিত ব্যক্তির নাম আতোয়ার আলী(৫২)। তিনি দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া এলাকার মৃত ওছিমুদ্দীন সাকিদারের ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে ৩১৪টি উদ্ধার হওয়া চার প্রজাতির বন্যপাখি উদ্ধার করা হয়। যা পরে ডাক বাংলোতে অবমুক্ত করা হয়।

মঙ্গলবার(২ আগস্ট) দুপুরে দুপচাঁচিয়া থানা চত্বরে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানান বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। এসময় রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহমেদ নিয়ামুর রহমান, দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী, আদমদীঘি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, বগুড়া ডিবির ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ এবং দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।

পুলিশ সুপার জানান, বগুড়া ডিবির অভিযানে সোমবার(১আগস্ট) রাত পৌণে ৯টার দিকে ডাঙাপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ৩১৪টি বন্য পাখি উদ্ধার ও আতোয়ার আলীকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আতোয়ার আলী সাকিদারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তিনি দীর্ঘ দশ বছর ধরে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হরেক প্রজাতির বন্যপ্রাণী আটক করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চড়া দামে বিক্রয় করে আসছিল।

উদ্ধার হওয়া ৩১৪টি পাখির মধ্যে ফুলমাথা টিয়া ১৪০টি, ৪০টি লাল মাথার টিয়া, তিলা মুনিয়া পাখি ৫০টি এবং ৮৪টি দেশি চাঁদি ঠোট মুনিয়া পাখি ছিল বলে জানা গেছে।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে বন্যপাখি কেনাবেচা ও সংরক্ষণ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী।

পুলিশ সুপার আরও জানান, বন্য পাখি যেন বিলুপ্ত না হয় সেই লক্ষ্য জেলা পুলিশ বগুড়ার এই ধরণের অভিযান চলামান থাকবে এবং বন্যপাখি ক্রয়-বিক্রয় ও সংরক্ষণ বন্ধের জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।