Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 4:32 pm

বঙ্গবন্ধুকে কোনো বাঙালি হত্যা করেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধুকে কোনো বাঙালি হত্যা করেনি। এ হত্যার পেছনে পাকিস্তান, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। গতকাল রাজধানীর বিয়াম মাল্টিপারপাস হলে নবম বিসিএস ফোরাম আয়োজিত ‘জনসেবায় প্রশাসন: বঙ্গবন্ধুর দর্শন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এইচ টি ইমাম বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্থপতি নন স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাংলাদেশের স্থপতি। বিষয়টি অনেকেই ভুল করেন। বাকশাল নিয়ে অনেক সমালোচক না জেনেই ভুল ব্যাখ্যা দেন। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করেছি যে, বাকশাল পড়েছেন, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছিল? বঙ্গবন্ধু বলতেন, কোনো বাঙালি তাকে হত্যা করতে পারে না। তার এই বিশ্বাস অটুট ছিল। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, কোনো বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি। হত্যার পেছনে বিরাট আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিল। প্রকাশ্যেই বলি, হত্যার পেছনে পাকিস্তান, চায়না, ইউএসএ ও আইএসের ভূমিকা ছিল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে এবং যেভাবে কাজ করতে বলেছেন সে অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি দেশের উন্নয়নের পেছনে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করার কারণেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। একইভাবে উন্নয়ন করার কারণে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সততা, মমতা আর দক্ষতার জন্য পিএসসি গঠন করেছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর দুটি বক্তৃতাকে পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে নবম বিসিএস ফোরামের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং শোষণমুক্ত সুখী ও সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে একটি স্বাধীন দেশের উপযোগী প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও তার গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ, নীতি ও সংস্কার কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন। এ সময় তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভৌত অবকাঠামো, শিল্প, নারী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচির ওপর আলোকপাত করেন।

সেমিনারে অন্য বক্তারা একটি গতিশীল, জনবান্ধব ও দক্ষ প্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়প্রত্যয়, দূরদর্শিতা, নেতৃত্ব, গৃহীত পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সরকার স্বাধীনতার পরপরই যথেষ্ট দক্ষতা ও দূরদর্শিতাসহ একটি গণমুখী প্রশাসন ব্যবস্থার ভিত্তি রচনা করেছিলেন। সেমিনারে নবম বিসিএস ফোরামে মহাসচিব ও কর কমিশনার সোয়ায়েব আহমেদসহ ফোরামের সদস্য ও অন্যান্য ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।