নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিনে জাতীয় শিশু দিবস পালন করছি। দিবসটি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ। বঙ্গবন্ধু না হলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না, বাংলাদেশের অভ্যুদয় হতো না। বঙ্গবন্ধু দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ছিলেন। তিনি শিশুদের শিক্ষা থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘দেশকে স্বাধীন করা থেকে শুরু করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, উন্নত করার জন্য বহু পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন। বর্তমানে চলমান বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনারই প্রতিফলন।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ গ্রহণের অনেক আগেই বঙ্গবন্ধু শিশুদের জন্য আলাদা আইন করেছিলেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনী ইশতেহারে শিশু শিক্ষার কথা উল্লেখ করেছিলেন যা তিনি ১৯৭৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নিজের জন্য কিছুই করেননি। আমাদেরকেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু না জন্মালে আমাদের অবস্থা অন্যরকম হতে পারতো। আমরা এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না।’
তিনি বঙ্গবন্ধুর শৈশবকে স্মরণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিশুকাল থেকে মানবদরদী ও প্রতিবাদী ছিলেন; পরিবার থেকে রাজনীতি, সমাজ থেকে রাষ্ট্র পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর মানবতার দর্শন উল্লেখযোগ্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করলে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারব। বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হোক।’
কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে; স্বাধীন দেশে আমরা বিচারক হতে পেরেছি, আমরা বড় আমলা হতে পেরেছি; বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তা হতে পেরেছি। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে তা সম্ভব ছিল না। আমরাই লাভবান হয়েছি। কিন্তু সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আগের মতই কাজ করে যাচ্ছেন। সেজন্য আমাদের বেশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, উপদেশ থেকে শিক্ষা নিতে হবে; সেগুলো বাস্তবায়ন করে দেখাতে হবে; বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে ধারণ না করলে শুধু কথায় বলে কোনো লাভ হবে না। বঙ্গবন্ধু দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন; সকলকে নিয়ে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সকলকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করে যেতে হবে।’
অনুষ্ঠানে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন, সব অনুবিভাগের মহাপরিচালকরা, পরিচালকরা, উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা। এছাড়াও ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন দুদক বিভাগীয় ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উপপরিচালক (মানবসম্পদ) রফিকুল ইসলাম।
